Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নতুন নিয়মে যাচ্ছে দুই সিটি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২, ১০:৫৪

এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নতুন নিয়মে যাচ্ছে দুই সিটি

গত কোরবানি ঈদে সিটি কর্পোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করছেন। ফাইল ছবি

কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিতে রাজধানীবাসীকে অভ্যস্ত করতে পারেনি রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন। উল্টো ভেস্তে গেছে সিটি কর্পোরেশনের অর্থ অপচয় হয়েছে। তাই এবার আর এই পথে হাঁটছে না দুই সিটি কর্পোরেশন। 

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সনাতন পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে দুই সিটি কর্পোরেশন। উত্তর সিটি কর্পোরেশন একটি ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামছে। 

সাধারণত কোরবানির ঈদে বাসিন্দারা যে যার ইচ্ছেমতো জায়গায় পশু জবাই করে থাকেন। আর এটাই যেনো নিয়ম বনে গেছে। দুপুর গড়াতেই সেই বর্জ্য অপসারণে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে নগর কর্তৃপক্ষ। দিনরাত এক করে সে এক মহাযজ্ঞ। ঘনবসতির এই নগর শতভাগ পরিচ্ছন্ন করতে লেগে যায় কয়েকদিন। 

তবে এর বিকল্প পথেও হেঁটে দেখেছে দুই সিটিই। ওয়ার্ড ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা করলেও তাতে খুব একটু সাড়া দেয়নি নগরবাসী। সবশেষ গত কোরবানিতে বসিলায় উত্তরের বিশাল আয়োজনে তেমন সাড়া দেয়নি নগরবাসী। দক্ষিণেও এমন আয়োজন থাকলেও অধিকাংশই কোরবানি দিয়েছেন ইচ্ছেমতো।

তাই এবার আর সেই নিয়মে যাচ্ছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ১২টার মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার পরিকল্পনা তাদের।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা দেখেছি যে জনগণ এটাতে সেভাবে সায় দেয় না। আমাদের অনেক অর্থ অপচয় হয়। আমরা এবার যে কার্যক্রমটা হাতে নিচ্ছি সেটা হলো তারা যেখানেই কোরবানি দিয়ে থাকুক না কেন তারা যেন দুপুর ১২টার মধ্যে বর্জ্য সংগ্রহকারীর কাছে পশুর বর্জ্য হস্তান্তর করে।

এবার নতুনভাবে মাঠে নামছে উত্তর। সাত নম্বর ওয়ার্ডে সাতটি নির্দিষ্ট স্থানেই থাকছে কোরবানির ব্যবস্থা। এর বাইরে যাতে না হয় থাকবে সেই তদারকি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্যান্ডেল করে দিতাম। তাই এবার প্রথমবারের মতো আমাদের কাউন্সিলরদের সাথে মিটিং করে আমরা টেস্ট কেস হিসেবে সাত নম্বর ওয়ার্ডকে ধরেছি। মিরপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে সাতটি জায়গা থাকবে। সেখানে সবাই কোরবানি দিতে হবে। আর সেখানে আমাদের তদারকি টিম থাকবে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, সনাতনী এই পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধুনিক কোরবানি ব্যবস্থাপনার এখনই সময়।

পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, যে ধর্ম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সবার ওপরে রেখেছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে যথাযথ করার ক্ষেত্রে সব রকম দায়িত্ব দিয়েছে, সেই ধর্ম পালনের জন্য শহরের জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই।

প্রতি বছর ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ১২ লাখ পশু কোরবানি করেন দুই সিটির বাসিন্দারা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫