
আইপিএস ও জেনারেটরের দোকান। ছবি- সংগৃহীত
দেশে হঠাৎ বেড়েছে লোডশেডিং। আর এতেই ক্রেতার ভিড় বেড়েছে আইপিএস ও জেনারেটরের দোকানে।
গত দুই সপ্তাহে এই দুটি পণ্যের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কাপ্তান বাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা জানান, গত ১৫ দিনে ব্যক্তিগত ক্রেতা পর্যায়ে আইপিএসের বিক্রি তুলনামূলক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলছেন, কোরবানির ছুটির কারণে অনেকে আইপিএসের দাম জানতে আসছেন। ঈদের পর কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে সপ্তাহখানেক পর বিক্রি আরও বাড়তে পারে।
কাপ্তান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আইপিএস। এর মধ্যে অন্যতম লুমিনাস ও মাইক্রোটেক।
এর পরেই রয়েছে লিভগার্ড, এমাজি, ইউটিএল ডামা প্লাস, এক্সাইডের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানের পণ্য। দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের আইপিএসও বেশ ভালো বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমন একটির নাম সেপটি প্লাস।
সেপটি প্লাসের বিক্রেতা মো. শাহেদ বলেন, ধরন ভেদে আইপিএসের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোটগুলো। ৫টি ফ্যান ও ৫টি লাইটের ক্ষেত্রে ৭ হাজার টাকা, ৪ ফ্যান ও ৪ লাইট ৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩ ফ্যান ও ৩ লাইটের উপযোগী একটি আইপিএসের ৫ হাজার ৫০০ টাকা।
পাশের দোকানের মালিক পরিচয় দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আইপিএসের ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। সিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্তরা এটি কেনার কথা ভাবতে পারছে না। যারা দাম জেনে চলে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে, নবাবপুরের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে জানা গেছে, জেনারেটরের বিক্রিও কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে— ২ থেকে ৫ কিলোহর্স জেনারেটর। ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছোট আকারের এসব জেনারেটর কিনছেন অনেকে। তবে আইপিএসের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি থাকায় বিক্রি আগের থেকে কম।
বাতিঘরের সেলস ও মার্কেটিং ম্যানেজার নাদিম আহমেদ বলেন, জুন ক্লোজিং এবং ঈদের কারণে জেনারেটর বিক্রি কতটা বেড়েছে, তা এখনই বলা যাবে না। তবে কিছুটা তো বেড়েছেই। অনেকে দামদর জানতেও আসছে। আমরাও বাজার বোঝার চেষ্টা করছি। ঈদের পর হয়তো বিক্রি বাড়বে।