
বান্দরবানে বৌদ্ধ বিহারে প্রার্থনা করছেন অনুসারীরা। ছবি: সংগৃহীত
আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমা থেকে বৌদ্ধদের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শুরু হয়। শুরু হয় তিন মাসের জন্য আত্নসংযম, ধ্যানচর্চা ও উপোসর্থ ব্রতের শিক্ষা।
আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে নানা বয়সের পূজারিরা বান্দরবানে নিজ নিজ বিহারে সমবেত হয়ে পুণ্যলাভের জন্য ফুল পূজা, কাঁচা ফল পূজা, পানীয় পূজা, মোমবাতি ও আগরবাতি পূজাসহ নিজ হাতের তৈরি পিঠা ও ছোয়েং (আহার) দান করেন ভক্তরা।
আজ বিকেলে নর-নারী, দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারে সমবেত হয়ে ভগবানের উদ্দেশ্যে জ্বল উৎসর্গ (পানি ঢালা), নগদ অর্থ দান, মোমবাতি ও হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্ট-পরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করে থাকেন।
ওই সময় বিভিন্ন বিহারে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিহারাধ্যক্ষ কর্তৃক সমবেত বিশেষ প্রার্থনা এবং ধর্মীয় দেশনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কথিত আছে গৌতম বুদ্ধের ঊনত্রিশ বছর বয়সে সত্য অন্বেষণে গৃহত্যাগ, তাঁর মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি, বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার, বর্ষাবাস অধিষ্ঠান এবং মা রানী মহামায়াকে অভিধর্ম দেশনা । তাই পুণ্যময় এ তিথিটি ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।