মঞ্চে বসা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ১২:৫৩

কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্মরণে আয়োজিত শোকসভা। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কবিরহাটে শোকসভার মঞ্চের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মরহুম কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্মরণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে এক শোকসভার আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন শোকসভার মঞ্চে বসেন।
এরপর ৭টা ১৮ মিনিটের দিকে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতি প্রাপ্ত) হানিফ বিএসি মঞ্চে বসতে গেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মো.সেলিম বাধা দেন।
এ সময় দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত রমজান মাসে হানিফ বিএসসি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত এক সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় হানিফ বিএসসি শোকসভার মঞ্চে বসতে গেলে দলটির কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মো. সেলিমের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতি প্রাপ্ত) হানিফ বিএসসি বলেন, আমি শোকসভার হলরুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে ডেকে নিয়ে তার পাশের চেয়ারে বসায়। ওই সময় সেলিম নামে এক ব্যক্তি হইচই করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাকে জানায় আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট না করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়েছে। কোনো ঝামেলা হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, শোকসভার মঞ্চে বসা নিয়ে মানোমালিন্য হয়। সভা শেষে ফেরার পথে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতির চেষ্টা করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।