হামলায় আহত ব্যক্তিকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২১:২৩

হামলায় আহত জাকির এবং তার মা
টাঙ্গাইলের
মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আদম আলী নামে এক ব্যক্তি
থানায় অভিযোগ করতে আসলে ছেলে জাকির হোসেনকে সাত ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মির্জাপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে তার প্রতিবেশি চাচা ফেরদৌস মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস তাকে লাঠি দিয়ে পেটায়। এ ঘটনা দেখে জাকিরের মা এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তারা গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাদের জামুর্কীস্থ মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আজ দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে আদম আলী ছেলে জাকির হোসেন ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মির্জাপুর থানায় ঘটনাটির অভিযোগ করতে আসেন। কর্তব্যরত পুলিশের উপপরির্শক (এসআই) ফজলুর রহমান জাকির হোসনকে আটকে রাখেন এবং বাকিদের গালমন্দ করে চলে যেতে বলেন। এসময় আদম আলী, তার স্ত্রী ও মেয়ে অনেক মিনতি করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি।
পরে বিষয়টি মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানলে
তার নির্দেশে রাত সাতটার দিকে ফজলুর রহমান জাকিরকে ছেড়ে দেন এবং আদম আলীর কাছ থেকে
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নেন। হাজতে থাকাবস্থায় জাকিরের নাক দিয়ে রক্ত
পড়ছিল এবং আটক রাখার বিষয়টি সন্ধায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে আদম আলী ও পরিবারের
সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জাকির
হোসেনের মা বলেন, থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তার ছেলে জাকিরকে আটক
করেন। অসুস্থতার বিষয়টি জানলেও পুলিশের ওই কর্মকর্তার মায়া হয়নি।
এস
আই ফজলুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় তাদের প্রতিপক্ষ থানায় একটি অভিযোগ
দিয়েছিলেন। এলাকায় গিয়ে তাদের না পাওয়ার কারণে থানার পাশে একটি দোকানের পাশে পেয়ে
গতকাল বিকেল চারটার দিকে তাকে আটক করা হয়েছিল। ওসি সাহেবের নির্দেশে পরে তাকে ছেড়ে
দেয়া হয়।
মির্জাপুর
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ নেয়া হবে।