মশক নিধনে ডেঙ্গু রোগীর তালিকা ধরে অভিযান চালাবে ডিএসসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২২, ১৬:১৪

ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী বাড়ির আঙ্গিনা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান চালাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মশক নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে সংস্থাটি।
রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু রোগীর তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করবো।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিশ মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকালে লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকালে আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।
মেয়র আরো বলেন, আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা আশাবাদী তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো। আমাদের সকল কাউন্সিলর এরই মাঝে নেমে (কাজে) গেছে। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ আমরা ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম- সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করবো।
তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যেসব জায়গায় আমরা ব্যত্যয় পাচ্ছি সেসব জায়গায় আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা করছি এবং সচেতন করার চেষ্টা করছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।