অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগীর হাত। ছবি: সংগৃহীত
অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস থেকে নাটোরের লালপুরে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা জাতীয় রোগের বিস্তার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আজ সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল নাটোরে যাবে বলে জানা গেছে।
নাটোরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) মো. গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আক্রান্ত রোগীদের দেখতে ইতোমধ্যে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দল উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রাম পরিদর্শন করেছে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের রোগের ধরন দেখে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার পশুর ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে।’
তবে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ ছোঁয়াচে নয় উল্লেখ করে গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স সন্দেহে অন্তত ৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৭ জুলাই রুইগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুলাল হোসেন (৫৫) অ্যানথ্রাক্স সন্দেহে ক্ষত নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাতে তিনি মারা যান।'
ময়নাতদন্তে মস্তিষ্কে ইনফেকশন ও ক্ষতের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে মারা গেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে জরুরিভাবে ঢাকা থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞ দল এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের দল আজ সোমবার ঢাকা থেকে নাটোরে যাওয়ার কথা আছে।
তারা ওয়ালিয়া ইউনিয়নে রোগীরা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী বলেন, অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ হলেও তা যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে।