সালিশে ভাতিজির শাশুড়ির মারধরে রক্তাক্ত গৃহবধূ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ২১:৪৯

মারধরের শিকার হেনা আক্তার। ছবি- সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্রাম্য সালিসে মাতবরদের সামনেই ভাতিজির শাশুড়ির মারধরে এক গৃহবধূ রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ধামরাই থানা পুলিশ।
এর আগে রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে দিকে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকায় এক ঘরোয়া সালিসে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই নারীর নাম হেনা আক্তার (৪৫)। তিনি ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের সাইদুরের স্ত্রী।
মারধর করা নারী ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল হকের স্ত্রী।
মারধরের শিকার ওই নারী জানান, দুই বছর আগে বিল্লাল নামে এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার ভাতিজির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ কারণে সে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। সম্প্রতি তার ভাতিজি জানতে পারে তার স্বামীর আগেও এক স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে গতকাল স্থানীয় ইউপি সদস্যের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারের মধ্যে সালিসি বৈঠক বসে। সেখানেই কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ভাতিজির শাশুড়ি তেড়ে এসে তাকে মারধর শুরু করে। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় ও রক্তাক্ত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সুতিপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সফিউজ্জামান স্বপন বলেন, ওই জামাই আগেও একবার বিয়ে করেছিল। কিন্তু তার স্ত্রী আরেকজনের সঙ্গে চলে গেলে পারিবারিকভাবে তাকে আবার বিয়ে করানো হয়। তবে সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। এ কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। পরে সামাজিকভাবে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আমরা বসি। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিল্লালের মা ছেলের বউয়ের খালাকে গলা ধাক্কা দেয়। এসময় দুইজনের ধস্তাধস্তি হয়। পরে ছোট বউয়ের খালার নাক ফেটে যায়। সে আহত হয়। পরে আমরা সবাইকে থামাই। এরপর বিষয়টা নিয়ে আবারো বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তের বা তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধামরাই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মালেকা বেগম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।