সরকারি দপ্তরই মানছে না বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২২, ০৮:৪০

রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী উপকেন্দ্রের আবাসিক এলাকা। ছবি: সংগৃহীত
বিদ্যুৎ ঘাটতি কমানোর জন্য গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সূচি অনুসারে দেশে দিনে একঘণ্টা লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সামান্য বিদ্যুৎও যেনো অপচয় না হয় সেদিকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অথচ গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) রাতে রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী উপকেন্দ্র ও ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে শোভাবর্ধন আলোক জ্বলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী উপ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল আওয়াল হোসেন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি কিন্তু এই বিষয়ে এখনো কোনো পত্র পাইনি। তবে বিষয়টি আপনি যখন বলেছেন কাল থেকে বিষয়টি খেয়াল রাখবো এমন যাতে না হয়।
অপরদিকে রাঙামাটিতে সরকারি নির্দেশনা না মেনে রাত ১০ পর্যন্ত শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরুপায় প্রায় সব দোকান খোলা ছিল।
শহরের উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় হোটেল রাজমহল ইন্টারন্যাশনাল নামে পাঁচ তলা হোটেলটিতে ব্যাপক আলোকসজ্জা লক্ষ করা যায়।
হোটেল ম্যানেজার মো. বাবুল মিয়া জানান আজ একটি মেহেদি অনুষ্ঠানের জন্য জেনারেটর দিয়ে করা হয়েছিল। আর হবে না।
বনরুপা বিএম শপিং কমপ্লেক্সের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুয়েল জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারের নির্দেশনা মেনে মার্কেটের মূল ফটক বন্ধ করা হয়।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান জনান, রাঙামাটিতে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলে আমরা ১২ খেকে ১৫ মেগাওয়াট পাচ্ছি। এক ঘণ্টা করে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয় দিয়ে তা ম্যানেজ করা হচ্ছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছি, রাত ৮টার মধ্যে সব দোকান বন্ধ করার বিষয়ে। তারাও সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তারা যদি নিজেরা আইন না মানে তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করবো।