১০ হাজার টাকায় ‘ধর্ষণের’ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ১৩:৪০

পুঠিয়া থানা। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় বিচার পাচ্ছে না দুটি পরিবার। পৃথক দুটি ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও মামলাভুক্ত করেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের আটক না করে বিষয়টি ১০ হাজার টাকায় আপোস করতে চাপ দিচ্ছে। এদিকে সঠিক বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পরিবার দুটি।
জানা গেছে, গত ১৭ মে বিকেলে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের খোকসা গ্রামের এক গৃহবধূ (২৫) ছাগল চরাতে বাড়ির পাশের বিলে যায়। সে সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লুতু শেখের ছেলে জহুর লাল (৩৫) ওই গৃহবধুকে একটি পাট ক্ষেতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে জহুর লালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আর অভিযুক্ত প্রভাবশালী। এ কারণে পুলিশ তাকে আটক করছে না। বরং এ ঘটনার পর থেকে কিছু টাকা নিয়ে বিষয়টি আপোস করতে অভিযুক্তসহ থানা পুলিশ চাপ দিচ্ছে।
অপরদিকে গত ৭ জুলাই একই ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ (২২) ঘরের কাজের জন্য মাটি আনতে বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ে যায়। সেখানে ওই গ্রামের ফরমান আলী নামের (৪৫) ব্যক্তি তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী পরদিন ৮ জুলাই ফরমান আলীকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে মোল্লাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একজন ইনচার্জকে দ্বায়িত্ব দেন। তবে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার বিষয়টি আপোস করতে নারাজ।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, ১০ হাজার টাকা নিয়ে এ ঘটনা ভুলে যেতে বলে পুলিশ। তবে আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
তবে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, দুটি ঘটনা আমার জানা আছে। এরমধ্যে গত ৭ জুলাই যেটা অভিযোগ দিয়েছে সেটি ধর্ষণ হয়েছে বলে মনে হয়নি। পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই অভিযোগ হতে পারে। বিষয়টি মীমাংসা করতে মোল্লাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একজন ইনচার্জকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর গত ১৭ মে ঘটনাটিও পারিবারিক ঝামেলার কারণে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছে।