
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়ায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে আয়োজিত নৌকা বাইচ দেখতে লাখো দর্শনার্থীর ঢল নামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিঞা স্মরণে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এমএ সামাদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ) আমিন শরিফ সুপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এ নৌকাবাইচ দেখতে বিকেলে বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীদের ঢল নামে বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়ায় (চাপড়া বিল)। জেলার অন্যতম বিনোদনমূলক এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে জলপথে নৌকা আর সড়কপথে যানবাহনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
রোমাঞ্চকর এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ভূঞাপুরের নিকরাইলের মাসুদ চেয়ারম্যানের নিউ হিরার তরী নামে নৌকাটি প্রথম ও নাগরপুরের হারানো মানিক নামের নৌকাটি দ্বিতীয় হয়। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
এদিকে নৌকা বাইচের কারণে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এতে বাসাইল থেকে সখীপুর সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়। টাঙ্গাইল থেকে বাসাইল দিয়ে সখীপুর যাওয়া যানবাহনকে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড থেকেই ঘুরিয়ে দেয়া হয়। অপর দিকে সখীপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী যানবাহনগুলো পুনরায় সখীপুরের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ওই সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকরা। যেখানে সখীপুর থেকে বাসাইলের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। সেখানে সখীপুর যেতে পরিবহনগুলোকে প্রায় ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে যেতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহৎ আয়োজনের কারণে সামান্য ভোগান্তি মেনে নিতে হবে।