পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাদ্রাসায় ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় স্থানীয় দুই যুবককে জরিমানা করেছে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান। 

আজ সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে এই জরিমানা আদায় করেন। 

নারী উত্যক্তকারী ওই দুই যুবক উপজেলার রাঙ্গালিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২) ও হাসেন মোল্লার ছেলে মুরাদ আলী (২০)। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার আরিফুল ও মুরাদ দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার কথা বলে প্রবেশ করে। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে ওই দুই যুবক চলে যাওয়ার সময় একটি শ্রেণিকক্ষের জানালা দিয়ে অশ্লীল বক্তব্য ও মোবাইল নম্বর লিখে ছুড়ে দেয়। ছাত্রীরা সাথে সাথে বিষয়টি মাদ্রাসা সুপারকে জানালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খরব দেয়। এসময় অপরজন পালিয়ে যায়। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশসহ উপস্থিত হন মাদ্রাসায়। এরপর আটক যুবকের সাহায্যে অপরজনকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। যুবকেরা তাদের অপরাধ স্বীকার করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা মোতাবেক ৫০০০ টাকা করে দুটি মামলায় মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, নারী উত্যক্তের বিষয়টি জানতে পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক যুবকদের অপরাধ স্বীকার সাপেক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। নারী উত্যক্ত বা যেকোনো ধরনের সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। 

এসময় তিনি উপস্থিত লোকদের কাছে বাল্য বিবাহ, নারী উত্যক্ত বা যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।