মাত্র ১৫ দিনের সংসার টাঙ্গাইলে আসা মালয়েশিয়ান তরুণীর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২২, ২০:৪৫

বাংলাদেশি যুবক ও মালয়েশিয়ান তরুণী। ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমের টানে যুবক মনিরুলের কাছে আসা মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস ১৫ দিন সংসার করার পর তার নিজ দেশে চলে গেছেন। নিজ দেশে চলে গেলেও এখনো মনিরুলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন ওই তরুণী।
মনিরুল ইসলাম (২৬) সখীপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকার বাসিন্দা ঈমান আলীর ছেলে। ওই মালয়েশিয়ান তরুণী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মনিরুলের কাছে চলে আসেন। বিয়ে করে সংসারের ১৫ দিনের মাথায় মনিরুলকে ছেড়ে তার নিজ দেশে ফিরে যান জুলিজা বিনতে কামিস নামের ওই তরুণী। সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মনিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মালয়েশিয়ান ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখীপুরে চলে আসে। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। হঠাৎ করে মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। যুবকের সাথে ১৫ দিন সংসার করে মালয়েশিয়ান ওই তরুণী তার নিজ দেশে ফিরে যান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর জুলিজা বিনতে কামিস আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাকিজভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম। পরে সে তার নিজ দেশে চলে গেছে। এখনো তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সাথে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী ও দুইজন সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে পৃথক রয়েছে।’
মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, ‘মেয়েটি হয় তো কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে ওই মেয়েটি চলে গেছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনো সেই ঋণের টাকার বোঝা টানছি। নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে ঘর ভাড়া করে থাকি। আমাদের কষ্টের জীবন। মেয়েটি আমাদের সম্মানহানি ও অনেক ক্ষতি করে চলে গেছেন।’