টাঙ্গাইলে বড়শিতে ধরা পড়ল ১০০ কেজির বিরল ডলফিন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২২, ১৬:১৯
-(1)-62e6573f2fdef.jpg)
বড়শিতে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিন। ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদী থেকে বড়শিতে ধরা পড়েছে ১০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির ডলফিন (শুশুক)। সমুদ্রের দুর্লভ মাছ নদীতে ভেসে লোকালয়ে আসায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এক নজর শুশুক মাছটি দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
আজ রবিবার (৩১ জুলাই) ভোরে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ধলেশ্বরী নদীতে সেন্টু নামের এক যুবকের বড়শিতে ধরা পড়ে এ শুশুক মাছটি। সেন্টু উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ আলী।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবার ভোরে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের জাঙ্গলিয়া এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে সেন্টু নামে এক যুবক সন্ধ্যা রাতে বোয়াল মাছ মারা বড়শি (জিয়ালা বড়শি) নদীতে ফেলে আসে। বড়শি ফেলার পর ছোট একটি বোয়াল মাছ বড়শিতে আটকে যায়। ওই যুবক মাছটি খুলে আনার জন্য যায়। এসময় আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির শুশুক মাছ বোয়াল মাছটিকে গিলতে গিয়ে আটকে যায়। পরে সেন্টু মাছটি দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। এসময় তার চিৎকার শুনে নদী পাড়ের লোকজন ঘটনা স্থলে ছুটে যায়। স্থানীয় জনতার সহায়তায় মাছটি ডাঙ্গায় তুলে আনা হয়। এরপর শুশুক মাছটি স্থানীয় জাঙ্গালীয়া ভোর বাজারে নেয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ শুশুক মাছটি দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।
সেন্টু মিয়া বলেন, সন্ধ্যা রাতে বোয়াল মাছ মারা বড়শি (জিয়ালা বড়শি) নদীতে ফেলে আসি। বড়শি ফেলার পর ছোট একটি বোয়াল মাছ আটকে যায়। এসময় আকস্মিকভাবে শুশুক মাছ বড়শির বোয়াল মাছটিকে গিলে ফেলে। ওই মাছটি দেখে আমি ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করি। এসময় আমার চিৎকার শুনে নদী পাড়ের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় জনতার সহায়তায় মাছটি ডাঙ্গায় তুলে আনা হয়।
সেন্টু আরো বলেন, শুশুক মাছটির ওজন আনুমানিক ১০০ কেজি হবে। ভোরে জাঙ্গালীয়া বাজারে নেয়া হলে স্থানীয়রা ১৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন স্থানীয় কয়েকজন।
ক্রেতা ইসমাইল মিয়া জানান, মাছটি ১৫ হাজার টাকায় সেন্টুর কাছ থেকে কিনে নেয়া হয়েছে। পরে আমরা কয়েকজন মিলে মাছটি ভাগ করে নিয়েছি।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাছুম বিল্লা জানান, মাছটি বিলুপ্তির পথে। এটি সংরক্ষিত প্রাণী। সংবাদ পেয়ে আমরা বাজারে যাই। তবে এর আগেই স্থানীয়রা সেটি কিনে ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরো জানান, যদি জীবিত থাকতো তাহলে আমরা উদ্ধার করে অবমুক্ত করতাম। এটি মারা, ধরা ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরণের মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে আমরা স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছি।