ব্যস্ততার চিরচেনা নগরী হঠাৎই শুনশান। থেমেছে প্রচারণার ডামাডোল। সব প্রস্ততি শেষে ভোট উৎসবের জন্য প্রস্তুত মেগাসিটি ঢাকা। রাত পোহালেই ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন ঢাকা দুই সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর। 

এদিকে, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের ভোটে দুই সিটিতে নেই স্বতন্ত্র কোনো মেয়র প্রার্থী। মেয়র পদে লড়বেন ৮টি রাজনৈতিক দলের ১৩ জন। এর মধ্যে আলোচনায় আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীরা। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে দল দুটিতে চলছে নানা সমীকরণ। 

অন্যদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইভিএমসহ নির্বাচনের নানা উপকরণ বুঝে নিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। আর নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে ভোটারদের অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এদিকে, ভোট ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে পুরো নগরে। চলছে র‍্যাব বিজিবির টহল। শনিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনি এলাকায়। দুই সিটির ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটাররা নির্বাচিত করবেন তাদের, আগামীর নগর অভিভাবককে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর দক্ষিণে এই সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪। দক্ষিণের চাইতে উত্তর সিটিতে ভোটার বেশি হলেও ওয়ার্ড সংখ্যা কম। উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি; যার বিপরীতে সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১৮টি। আর দক্ষিণে ৭৫ টি সাধারণ ওয়ার্ডের বিপরীতে ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড।

উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৮৭৬টি। দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ৭৫১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে।