কুমিল্লা স্টেশন ক্লাবের চৌহদ্দির দেয়াল যেমন জরাজীর্ণ, তেমনি ভেতরের কক্ষগুলোর রঙ, আস্তরণ খসে পড়ছে। শতবর্ষী এ ক্লাবে আগের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে দেখা যায় না। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ক্লাবের বর্তমান অবস্থা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। 

সূত্র মতে, ১৮৯০ সালে নির্মাণ করা হয় কুমিল্লা স্টেশন ক্লাব। ইংরেজ কর্মচারীদের নিঃসঙ্গতা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কাটানোর জন্য নির্মাণ করা হয় এ ক্লাব। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিত্তবিনোদনের স্থান হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭৭ সালে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা স্টেশন ক্লাবের মহিলা শাখা। একই বছরে এখানে কমিউনিটি সেন্টার চালু করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ক্লাবের সংস্কার করেন সাবেক জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। 

ক্লাবের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে টেবিল টেনিস, ক্যারম খেলার ব্যবস্থা আছে। গত কয়েক বছর তেমন কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় না এখানে। ক্লাবের উপরের কয়েকটি কক্ষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রাত্রি যাপন করেন। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানও হয় না এ স্থানে।

কুমিল্লার প্রবীণ নাগরিক ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল বলেন, এটি কুমিল্লার পুরনো একটি ভবন। ইংরেজ সরকারের আমলাদের বিনোদনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার জন্য কোনো ক্লাব ছিল না। আগেকার দিনে কাছারি ঘর তৈরি করা হতো। এখানে মজলিসের আয়োজন হতো। ক্লাবটি এখন যে অবস্থায় আছে, এটি পরিকল্পিত সংস্কার করা প্রয়োজন। 

স্টেশন ক্লাবের সভাপতি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, ক্লাবের বর্তমান অবস্থা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। এখানে কী করা যায়, সরকার তা বিবেচনা করবে।