নাটোরের হয়বতপুর গোলাম ইয়াছিনিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জাফর বরকতকে (৫২) মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

এর আগে, একইদিন জাফর বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান কালু, তার ছেলে জয়সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তনের দাবি নিয়ে কালু ও তার ছেলে জয় সহ প্রায় ১৫ জনের একটি দল গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষকে খুঁজতে থাকেন। তাকে না পেয়ে শিক্ষকদের গালাগালি করতে থাকে।

এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফরের কক্ষে ঢুকে তার সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে তারা তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। তারা জাফরকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন এবং তাকে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখেন।

সেখানেও ওই শিক্ষককে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাফরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।