
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। ছবি: ফাইল
দেশে চাহিদার বিপরীতে সারের মজুদ যথেষ্ট দাবি করে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, দেশে বিভিন্ন ধরনের সারের চাহিদা ( জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১৩ লাখ টনের বিপরীতে মজুদ রয়েছে ১৮.৮০ লাখ টন সার। এর মধ্যে ইউরিয়া ৭.২৭ লাখ, টিএসপি ৩.০৯ লাখ, ডিএপি৬.৩৪ লাখ এবং২.১০ লাখ টন। অপরদিকে সারের চাহিদা ১৩ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ৬.১৯ লাখ, টিএসপি ১.১৯ লাখ, ডিএপি২.২৫ লাখ এবং এমওপি ১.৩৭ লাখ টন।
তিনি বলেন, সরকার এসব সার আমদানিমূল্য থেকে অনেক কমে কৃষকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। সবগুলোতেই সরকার ভর্তুতি দিয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া ৮১ টাকা, টিএসপি ১০৮ টাকা , এমওপি ১০৬ টাকা এবং ডিএপি ১২৩ টাকায় আমদানি করতে হচ্ছে। যা ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ৩-৪ গুণ আমদানি ব্যয় বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধিতে দেশে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সারের দাম ৬ টাকা বৃদ্ধি করে ডিলার পর্যয়ে ১৪-২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ১৬-২২ টাকা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। টিএসপিতে ৮৬ টাকা, এমওপি ৯১ টাকা, এবং ডিএপিতে ১০৭ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। ২০০৫-০৬ সালের তুলনায় ২৮ গুন বেশি ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইউরিয়া সারের বর্তমান ব্যবহার কমপক্ষে ২০ ভাগ কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। এতে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, বরং উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। একইসাথে, কৃষকের খরচও কমবে।
ইউরিয়া সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকটি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, নন ইউরিয়া সার ( টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) বছরে ব্যবহার হয় ৩২ লাখ টনের বেশি। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৪ গুণ বেড়েছে, কিন্তু দেশে আমরা দাম বাড়াইনি। কাজেই, ইউরিয়া সারের কেজিতে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে ফসলের উৎপাদনে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।