ছাত্র কিংবা অতিথির ছদ্মবেশে চুরি করাই তাদের পেশা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৭:০৫

গ্রেপ্তার আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। কখনও ছাত্র বা অতিথি, আবার কখনও সার্ভিসম্যানের ছদ্মবেশে চুরি করাই তাদের পেশা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দু’জন হলো- আশিকুল ইসলাম (৩০) সে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর পূর্বকান্দি গ্রামের মৃত আসলাম মোলার ছেলে, অপর আসামি মামুন মোল্লা (২৮) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার নিরালা বাজার এলাকার মৃত আরমান মেল্লার ছেলে।
আজ রবিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার গোল্ডেন প্যালেসের দ্বিতীয় তলায় ফাতেমা বেগমের বাসার দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে চোর চক্র।
পরে তারা ঘরে থাকা আলমারি ও ওয়ারড্রপের তালা ভেঙে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়া যায়। ঘটনার পর গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) ভোরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের বাড্ডা এবং ডেমরা এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে আসামি আশিকুর ইসলামের ভাড়া বাসা ডেমরার কোনাপাড়া এলাকা থেকে ৪টি স্বর্ণের আংটি, ১ জোড়া কানের দুল, ১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি লকেট, ১ জোড়া রুপার চুড়ি, ২ জোড়া নুপুর, ১টি ব্রেসলেট, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন সেট, নগদ ৫ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি রেঞ্জ, ১টি তালা ভাঙার টালী ও চুরির সময় আসামদের পরিহিত ১টি শার্ট, ১ জোড়া জুতা, ১টি জিন্স প্যান্ট, ১টি মাক্স জব্দ করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অন্যান্য চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরের আবাসিক এলাকায় ছাত্র, অতিথি কিংবা সার্ভিসম্যান সেজে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় প্রবেশ করে যে সকল বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী থাকে না, সেখানে চুরি করার জন্য টার্গেট করে।
সুযোগ বুঝে ছদ্মবেশ ধারণ করে তালা ও গ্রীল কেটে বিভিন্ন অভিনব পন্থায় দ্রুত মূল্যবান মালামাল চুরি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে থাকে।
তদন্তকালে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সুধারম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।