অর্ধেক জনবল দিয়ে চলছে কুমিল্লা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম। কিছু উপজেলায় ৭০-৮০ শতাংশ পদ শূন্য। তারপরও সারাদেশে মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় হয়েছে কুমিল্লা। জেলায় ১৩৪টি অনুমোদিত পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৭০ জন। সংশ্লিষ্টদের মতে, শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দিলে মৎস্য উৎপাদনে দেশ সেরা হবে কুমিল্লা।

কুমিল্লা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, উপ-সহকারী পরিচালক পদ থাকলেও কোনো কর্মকর্তা নেই। 

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার তিনটি পদ খালি। এছাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পদে দায়িত্ব পালন করছেন পাঁচজন, খামার ব্যবস্থাপকের ছয়টি পদ থাকলেও সবগুলোই শূন্য।

মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তার একটি পদ খালি রয়েছে। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। সহকারি ২২টি পদের ১৩টিই শূন্য। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদ আছে ২৪টি। কিন্তু এসব পদে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন।

হ্যাচারি সহকারি পদে পাঁচজনের অনুমোদন থাকলেও সবগুলো পদই শূন্য। পাম্প অপারেটর পদে কর্মরত আছেন একজন। আর অফিস সহায়কের ২৫টির শূন্যপদ রয়েছে ১৩টি।

কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন জানান, জেলা কার্যালয়ের অধীনে সাতটি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, ১০টি  উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও ছয়টি খামার রয়েছে।

এ জেলায় অনুমোদিত জনবল ১৩৪ জন। অথচ বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৭০ জন। প্রায় অর্ধেক পদে লোকবল নেই। কর্মকর্তাদের দাবি, শূন্যপদগুলোতে জনবল নিয়োগ দিলে কাজে গতি আসবে। 

জানা যায়, মৎস্য উৎপাদনে এ বছর সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে কুমিল্লা। জেলায় এ বছর চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন মাছ। যদিও জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ মেট্রিকটন। চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৪ টন মাছ বেশি উৎপাদন হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।