Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

হোটেলে টর্চার সেল: অজ্ঞাতনামা ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪৯

হোটেলে টর্চার সেল: অজ্ঞাতনামা ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কথিত টর্চার সেল থেকে উদ্ধারকৃত আলামত। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের ‘টর্চার সেলে’ জিম্মি অবস্থা থেকে পর্যটকসহ চারজনকে উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে ভূক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদী হয়ে কক্সবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১১ আসামির মধ্যে আট জন পুরুষ ও তিন জন নারী রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৮ আগস্ট) ভোরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় কটেজ ব্যবসার আড়ালে ‘টর্চার সেলে’ জিম্মি রাখা অবস্থায় দুই পর্যটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাইনবোর্ড বিহীন ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের ওই আবাসিক কটেজে তল্লাশি চালিয়ে নির্যাতন চালানো ও আপত্তিকর কাজে ব্যবহৃত কিছু উপকরণ জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের লাইট হাউজ এলাকায় দেড়-শতাধিক আবাসিক কটেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি কটেজ রয়েছে সাইনবোর্ড বিহীন। যেগুলোতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পাশাপাশি নারীদের আপত্তিকর কাজে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এ ধরণের কাজে সক্রিয় রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনে কটেজ ব্যবসার আড়ালে ‘শিউলি রিসোর্ট’ নামের টর্চার সেল থেকে পর্যটকসহ চারজনকে উদ্ধারের ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে তিন নারীসহ অজ্ঞাতনামা ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ মামলার আসামিদের তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাবে বলেও জানান পর্যটন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫