Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

দেশ কি খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

Icon

কে এম ওবায়দুল্লাহ

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:৫৩

দেশ কি খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

প্রতীকী ছবি

বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য সংকট চরমে। ক্ষুধার্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের অনিশ্চয়তাও দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রতি তিনজনের একজন এ অনিশ্চয়তার শিকার। দুবছর ধরে করোনা মহামারির প্রভাব, তার মধ্যে বিশ্ব খাদ্য ব্যবস্থার উপরে যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। 

প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকা ইতোমধ্যেই এক নজিরবিহীন সংকটে। এবার আরও এক প্রতিবেশী ভুটানেও খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ খাদ্য ও পানীয় সংকটে পড়েছেন মারাত্মকভাবে। পাকিস্তান ও নেপালের অবস্থা আগে থেকেই নড়বড়ে। গুঞ্জন উঠেছে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও। 

একেবারে ভরা মৌসুমেও দেখা গেছে, দেশে চালের দাম বাড়তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই ভাবনাকেও চাপে ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্য বিশ্বব্যাপী অন্যান্য পণ্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতিকেও বাড়িয়ে তুলেছে। সৃষ্টি হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট, মানবিক বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ রাশিয়া এবং ২০ শতাংশ ইউক্রেন থেকে হয়েছে। আর এ দুদেশের শস্যের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল পশ্চিম আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চলে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই চার কোটির বেশি লোককে আরও দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের পণ্যবাজারে অর্ধশত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধ গ্যাস থেকে গম, এমনকি তুলা পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এই ধাক্কা সত্তর দশকের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। 

জাতিসংঘ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব বর্তমানে এমন ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে, যা কেউই গত কয়েক দশকে দেখেননি। তাই দ্রুত ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব হবে না। আর এটি মোকাবিলা করা না গেলে সুদীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের কোটি কোটি শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিদারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এক বেলা খেলে আরেক বেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৬০ কোটি। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বিশ্বের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ। পাশাপাশি দরিদ্রতার মধ্যে পড়তে পারে আরও কয়েক কোটি। আর এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও। তাহলে খাদ্য সংকট কি আসন্ন- এমন একটি প্রশ্ন আজকাল ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনেই।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধান খাদ্যশস্য চালের সংকট দেখা দিয়েছে অনেকবার। যদিও বরাবরই বলা হয়ে থাকে- বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ; কিন্তু পরিসংখ্যান কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলাদেশ আসলে খাদ্য আমদানিনির্ভর একটি দেশ। গমের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। চালেও বাংলাদেশ ক্রমাগত আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। বিগত কয়েক বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ চাল আমদানিকারক দেশের মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। ২০২১ সালেই ২৬ লাখ টনের বেশি চাল আমদানি করা হয়, যা চাল আমদানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে আমাদের। কিন্তু এবার বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে ভবিষ্যতে টাকা থাকলেও খাদ্যশস্য পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক দেশই এর মধ্যে নানারকম খাদ্যপণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করছে। সরকারের খাদ্য মজুদ করার মতো গুদামের ধারণক্ষমতা কেবল ২০ লাখ টনের কিছু বেশি। ফলে আগেভাগে খাদ্যপণ্য কিনে সংরক্ষণেরও সুযোগ নেই।

এদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আগামী মৌসুমের ফসল বোনা হচ্ছে খুবই কম। নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তো আছেই, সঙ্গে বীজ-সার সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। আবার অনেক কৃষি জমিতে মাইন বসানো হয়েছে বলে চাষাবাদ অসম্ভব। অপরদিকে রাশিয়ার ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি থেকেও খাদ্যশস্য রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। আর এ সংকট শুধু খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রেই নয়, আছে অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক সারের ক্ষেত্রেও। রাশিয়া পৃথিবীর খুব গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক সার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়তে শুরু করেছে। লোকসান কমাতে এরই মধ্যে সরকার ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা এবং আবহাওয়া বিপর্যয়সহ বেশকিছু কারণে বিগত বছরের তুলনায় দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন এ বছর কম হয়েছে। এ জন্য চালের ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এটাই স্বাভাবিক যে, ঘাটতি পূরণে আমদানিই একমাত্র পথ। কিন্তু চাল আমদানি করেও দাম নিয়ন্ত্রণ করা যেখানে কঠিন, সেখানে যদি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের ইঙ্গিত দেয় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, তাহলে বলতে হবে বাংলাদেশের জন্য এটি অনেক বড় দুঃসংবাদ!

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গেল ৪ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্যশস্যের সরকারি মোট মজুদ ১৮ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল ১৫ দশমিক ৭২ লাখ, গম ১ দশমিক ৫৩ লাখ ও ধান ১ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। সরকারের কাছে গত ২২ মে পর্যন্ত অবশ্য মোট ১১ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ছিল। যেখানে ১০ দশমিক ৫১ লাখ চাল ও মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টনের কিছু বেশি ছিল গম। সেই হিসাবে মোট মজুদের পরিমাণ বাড়লেও উদ্বেগ রয়েছে আমদানিনির্ভর খাদ্যশস্য গম নিয়ে। কেননা গত বছরের একই সময়ে দেশে গমের মজুদ ছিল ২ দশমিক ৯১ লাখ টন। দুই বছর আগে ছিল ৩ দশমিক ৬০ লাখ টন। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণসাগরে শস্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এরই মধ্যে পরটা, পাউরুটি, বিস্কুট, নুডলসসহ গম ব্যবহার করে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে যত ধরনের পণ্য তৈরি হয় তার সবগুলোর দামই বেড়েছে; যার চাপ পড়ছে ভোক্তাদের পকেটে। খাবারের পেছনে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ অনেক ক্ষেত্রে খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গমের আটা-ময়দা থেকে তৈরি পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের একটি শ্রেণি এসব খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বেড়ে গেছে ভাতের চাহিদা, যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘এদেশের মানুষের প্রধান খাবার যেহেতু চাল, তাই বিকল্প পণ্যের ভোগ কমিয়ে দিলে তারা ভাতেই ফিরবে। তবে চাপ সামলাতে প্রস্তুতিরও দরকার আছে।’  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে গত অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৮৭ লাখ টন। সে হিসাব আমলে নিলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ বছর সাড়ে ৫৫ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা; কিন্তু উল্টো এ পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল আমদানির প্রয়োজন হয়েছে ঘাটতি মেটাতে। তথ্যের এমন গরমিলের সঙ্গে অবশ্য ব্যবসায়ীদের নানা কারসাজি। এক হিসাব বলছে, দেশে গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি কেজির বেশি চাল লাগে। এখন কেজিপ্রতি চালের দাম কেবল এক টাকা বাড়লেও প্রতিদিন বাজার থেকে ৭ কোটি টাকা উঠিয়ে নেওয়া যায়। বাজারে যেহেতু সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, সেই সুযোগটা নেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ মানুষের। দেশে এবার পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদিত হয়নি এবং যেটুকু হয়েছে সেটা সংকট মোকাবিলার জন্য যথেষ্টও নয়। প্রকৃতির খামখেয়ালির মুখে পড়েছে আমন মৌসুমটিও। ভরা শ্রাবণেও বৃষ্টি না হওয়ায় জমি চাষ করতে হচ্ছে সেচ দিয়ে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। অনেকে তো এবার ধান চাষ না করারই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেছেন খরচ ওঠাতে পারবেন না বলে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, পাঁচ বছর ধরে খাদ্য উৎপাদনে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে গত পাঁচ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল ও গমের উৎপাদন দাঁড়ায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে চাল ও গম প্রধান খাদ্যশস্য হওয়ায় এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে না পারলে ভবিষ্যতে খাদ্য ভঙ্গুরতা বাড়বে। 

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অন্যান্য খাতের মতো কৃষিতেও কোভিডের আগে ও পরের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন সংকট। ইউক্রেনের অস্থিরতায় গমের দাম সাংঘাতিক আকারে বেড়েছে। তাই আমাদের দেশের মধ্যে গমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো। এসব ক্ষেত্রেই সরকারের নীতিগত ও পরিকল্পনাগত সহায়তার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে কোনটির উৎপাদনে জোর দেওয়া প্রয়োজন, কোনটিতে একটু কম জোর দিলেও চলবে- এসব বিষয়ে সরকারের একটি সঠিক ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জরুরি। যদিও ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো নিয়ে কোনো ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ও ধারাবাহিক নীতি নেই সরকারের।’ 

এবার আমন ধানের উৎপাদন কমার ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে এ গবেষক বলেন, ‘বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এবার আমন রোপণ করা নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টি না হলে আমন ও বোরো দুই জায়গাতেই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। আমাদের চাল উৎপাদনের ৯০ শতাংশই আসে আমন ও বোরো থেকে। যদি সেখানে ১০ শতাংশও কমে যায় তাহলে একবার চিন্তা করুন কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আবার বাইরে থেকেও আনার সুযোগ হচ্ছে না।’

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য বলছেন, ‘আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের যে ফুডস্টক আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে, তাতে কোনো বড় সমস্যা হবে না।’ আর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলছেন, ‘বাংলার কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। ফলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না। আর অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয়, তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫