পরিবেশ রক্ষায় ৫ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৪২

পরিবেশ রক্ষায় অভিযান
পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের অধীনে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের
নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লকে এ নির্দেশ
বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি)
এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি
করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার
বায়ুমান ও পরিবেশ অধিদফতরের জনবলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মহাপরিচালককে হাজির হতে
নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় এদিন সকালে আদালতের হাজির হন পরিবেশ
অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম রফিক আহমদ।
পরে তিনি আদালতকে বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ে আদালতের আদেশ আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। এত কিছুর
পরও কেন দূষণ কমছে না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ
শিক্ষকদের নিয়ে একটি সেমিনার করেছি। সেখানে তারা কিছু মতামত দিয়েছেন। এরপর সেসব
মতামত আদালতে পড়ে শোনানো হয়। পরে পরিবেশ অধিদফতরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে গত
বছরের ৯ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিল পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। তবে
এর মধ্যে খুলনার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করে মন্ত্রণালয়। এ তথ্য আদালতকে
অবহিত করার পর এক মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরে ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিলেন আদালত।
পাশাপাশি আদালত বায়ুদূষণ রোধে
বিশেষজ্ঞ মতামত এবং উচ্চতর কমিটির সুপারিশ নিয়ে একটি সমন্বিত কার্যক্রম তৈরি করে
আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস
অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই
বছরের ২৮ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির
পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তবর্তীকালীন আদেশও দেন আদালত। ১৫
দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে
পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও
পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের
ওই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ
ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন
আদালত। পরে গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়।