Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু আর আমি বাংলাদেশের মাটির সন্তান: শেখ হাসিনা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩৯

বঙ্গবন্ধু আর আমি বাংলাদেশের মাটির সন্তান: শেখ হাসিনা

ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ পযর্ন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়। একমাত্র আমার বাবা ও আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে, দলটির বর্তমান চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্ম শিলিগুড়ি আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্ম কুচবিহারে। একজনও এই মাটির সন্তান না।

গতকাল মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমের একটি হোটেলে ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাটির সন্তান- এ পযর্ন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে আপনারা হিসেবে করে দেখবেন, একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান না। একমাত্র আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান। যেহেতু আমাদের মাটির টান আছে এজন্য আমাদের একটা কর্তব্যবোধ আছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজের আমলে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট দিকদর্শন থেকে যদি আমরা কাজ করি তাহলে অবশ্যই একটা দেশ উন্নত হওয়া সম্ভব। আসলে ৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা এভাবে চিন্তা করেনি। তাদের ক্ষমতাটা ছিল ভোগের বস্তু।

তিনি আরো বলেন, আর আমরা মনে করি ক্ষমতা মানে কাজ করার সুযোগ, জনসেবা করার সুযোগ, আমরা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করি। সেটা হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

দেশের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর কেউ ওই দাতা দাতা বলে আমাদের ভিক্ষে দিতে আসে না। উন্নয়ন সহযোগী বলে আরো কত উন্নয়ন করবো সে সহযোগিতা করতে আসে। কারণ কারও কাছে আমরা ভিক্ষে চাই না।

বিদেশে যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, প্রবাসীদের সেভাবে নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার সব কিছুতে যেন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা থেকে আরো এক হাজার করে লোক প্রবাসে পাঠাতে সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছে। 

ডিজিটাল পাসপোর্টের পর এখন ই-পাসপোর্ট চালুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ই-পাসপোর্টের যুগ, আমরা ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট দেয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যাতে কেউ আর ধোঁকায় না পড়ে, সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রোম-ঢাকা-রোম রুটে বিমান বাংলাদেশ পুনরায় চালুর দাবির প্রশ্নের জাবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে ১২টা বিমান রয়েছে, আরো তিনটি শিগগিরই যোগ হবে। অনেক দেশের বিমান সমস্যা সমাধান হয়েছে। ইতালিতে বিমান চালুর ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে যে বাংলাদেশ থেকে কীভাবে বিমান আসতে পারে। 

তিনি এ সময় হেসে বলেন, বিমান হলে তো যাত্রীও লাগবে। এসময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জোড়াল কণ্ঠে বলেন, কোনো সমস্যা নেই। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ সমস্যা সমাধান করতে আশ্বাস দেন।

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি যে, প্রবাসী কেউ যদি দেশে যায় বিমানবন্দরে মাঝে মধ্যে খুব হয়রানির শিকার হতে হয়। আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শুনে বাইরে থেকে আসবে তখন ভাবে একটু চাপ দিলে বোধহয় ডলার পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন, ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজি, প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন হোসনে আরা বেগম।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা) রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীগণ।

সফরের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ব্যবসায়ী নেতারা সাক্ষাৎ করবেন তার সঙ্গে। এরপর রাতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫