
ছবিতে গুলশান-২ চত্বর। ফাইল ছবি
অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গাড়ি পার্কিংয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের ব্যানারে এই ‘স্মার্ট পার্কিং’ পদ্ধতি আনছে (ডিএনসিসি)। তবে প্রথমে কেবল রাজধানীর বনানী ও গুলশানবাসীরা এ সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।
এ পদ্ধতিতে স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পার্কিং খুঁজে পাবেন চালকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আপাতত পাইলট প্রকল্পে ১০৮টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রাখতে হলে দিতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি। ওই সড়কগুলোর বাইরে অন্য কোথাও গাড়ি পার্ক করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা করবে ট্রাফিক পুলিশ।
এদিকে অ্যাপের মাধ্যমে এই স্মার্ট পার্কিং পরিচালনার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগির এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএনসিসি এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারলে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ হবে। সড়কেও যানজট কিছুটা কমবে।
তাদের মতে, ঢাকা শহরে অধিকাংশ ভবনে গাড়ির পার্কিং নেই। ফলে বাসা-অফিসের সামনে গাড়ি পার্ক করেন চালক বা মালিকরা। এতে সড়কের প্রস্থ কমে যায়। যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এখন যদি নির্দিষ্ট পার্কিং থাকে, তখন কেউ আর যত্রতত্র পার্কিং করবে না বা প্রবণতা কমে আসবে।
ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশানের ৪, ৬২, ৬৩, ১০৩ ও ১০৯- এই পাঁচটি রোডে এসব পার্কিং ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। তিন মাস মেয়াদি এ প্রকল্প পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে শহরের অন্যান্য সড়কে একই রকম উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি প্রথম ঘণ্টায় ৫০ টাকা, দ্বিতীয় ঘণ্টায় ৭৫ টাকা এবং তৃতীয় ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা করে ফি দিতে হবে। এরপরও যদি কেউ পার্কিং ব্যবহার করতে চান, তাহলে ঘণ্টায় ১০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম অবস্থায় গুলশান-বনানীতে স্মার্ট কার পার্কিং চালু করব। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এটা চালু হবে। এই প্রজেক্ট সফল হলে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানেও এই পার্কিং ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।