Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ডেঙ্গুর হটস্পট ঢাকার ৫ এলাকা, আক্রান্তদের ৩৮% শিশু

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ২৩:০৪

ডেঙ্গুর হটস্পট ঢাকার ৫ এলাকা, আক্রান্তদের ৩৮% শিশু

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী। ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু জ্বর। ঢাকা ও কক্সবাজারে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, মুগদা, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি এলাকা ডেঙ্গুর হটস্পট। কারণ এসব এলাকা থেকেই বেশি রোগী আসছে হাসপাতালে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশই শিশু বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরায় এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি; সেইসঙ্গে মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে আসছেন। 

ঢাকার বাইরেও বেড়েছে মশাবাহিত এ রোগের বিস্তার এবং মৃত্যুও বেশি অন্য জেলায়। একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কক্সবাজারে। আর মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি।

এবছর ডেঙ্গুর চার ধরনের মধ্যে দেশে এলাকাভেদে তিনটি ধরন সক্রিয় আছে। এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ২০১৭ সালে দেশে ডেন-ওয়ান ও ডেন-টু সেরোটাইপ ডেঙ্গুর উপস্থিতি ছিল। এরপর ২০২১ সালে ডেন-থ্রি ছিল। এবার ঢাকার ডেন-ফোরের উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে ডেন-ওয়ান, ডেন-থ্রি ও ডেন-ফোর সেরোটাইপ ডেঙ্গু হচ্ছে। একাধিক সেরোটাইপে সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি।

জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. ইকরামুল হক জানান, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ শিশু। যাদের বয়স এক থেকে ১৮ বছর। ২০ বছরের বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৬২ শতাংশ মানুষ। আর মৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ শিশু। ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা যান ৪৮ জন। ১৮ জন মারা যান ৩-৬ দিনের মধ্যে, ৬-৯ দিনে মধ্যে মৃত্যু হয় ৬ জনের। আর ৯-৩০ দিনে মারা গেছেন তিন জন।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১-১০ বছরের ১২ জন। ১০-২০ বছর বয়সের ১৪ জন, ২০-৩০ বছরের ১৬ জন, ৩০-৪০ বছরের ৮ জন, ৪০-৮০ বছরের ২৫ জন।

অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৬৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৬৮ জন। এসময় মারা গেছেন ৮ জন। মৃত্যু ও শনাক্তে এটা এ বছরে মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি কমছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে কোথাও একটা ফাঁকফোকড় থেকে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার জন্য লোকবল, লজিস্টিকস, জায়গা তৈরি রাখার ওপর জোর দিচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ভর্তির পাশাপাশি আবার কত ডেঙ্গু রোগী আসবে তা আমরা জানি না। যে কারণে জায়গা তৈরি রাখছি, কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায়।

কীটতত্ত্ববিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মশা নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে তা মশার জন্য সহনশীল হয়ে পড়ে। তাই কীটনাশক কেনার আগে ৯০ শতাংশ মরবে কিনা সেটি নিশ্চিত হয়ে কেনা উচিত।








Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫