Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

অবৈধ ওয়াকিটকিতে নিরাপত্তা হুমকি

Icon

শাহরিয়ার হোসাইন

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১১:৩৪

অবৈধ ওয়াকিটকিতে নিরাপত্তা হুমকি

প্রতীকী ছবি।

ব্যস্ত সড়ক বা নির্জন পথে গাড়ি থেকে নেমে এসে দাঁড়ান তারা। ইউনিফর্ম কিংবা কখনো সাদা পোশাক, হাতে থাকে ওয়াকিটকি। তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বলেই মনে করেন সবাই। আর বিশ্বাস করেই পড়েন বিপদে, হারান সর্বস্ব।

ওয়াকিটকি হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সাজে এরা মূলত পেশাদার সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, ডাকাত। তাই এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকি অবৈধ ওয়াকিটকি। মূলত বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা ওয়াকটকি সেট নিয়ে অপরাধী চক্র ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। মাঝে মাঝে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়ছেন। কিন্তু দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা থেমে নেই, অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহার করে অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না। 

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা সরকারি সংস্থার লোকজন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ওয়াকিটকি ব্যবহার করেন। কোনো ব্যক্তিকে ওয়াকিটকি ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয় না। সরকারি সংস্থার বাইরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কোনো প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে এ লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস সেট, অবৈধ মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট ও মোবাইল বুস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা যন্ত্র অবৈধভাবে আমদানি হচ্ছে। দেশে এনে গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে, চলে যাচ্ছে অপরাধীদের হাতে। মূলত অন্য পণ্যের আড়ালে এসব সামগ্রী দেশে আনা হয়।

ওয়াকিটকি হাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেজে অপরাধ করায় এর দায় যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। অপরাধীরা পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই সদস্য পরিচয় দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভাবিয়ে তুলছে তাদের, বিব্রত হচ্ছেন তারা। 

অপরাধীরা তো বটেই, বৈধ কাজের জন্যও ওয়াকিটকি কেনা হচ্ছে অবৈধ মার্কেট থেকে। দুর্বল তদারকির জন্য অনেক সময় প্রকাশেই এগুলো বিক্রি হয়। ওয়াকিটকি বিষয়ে প্রশাসনের  নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওয়াকিটকি নিয়ে যা আছে আইনে

‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১’-এর ৫৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া বাংলাদেশেরভূখণ্ডের বা আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় বা এর ওপরস্থ আকাশসীমায় বেতার যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কোনো বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করবেন না বা কোনো বেতার যন্ত্রপাতিতে কমিশনের (বিটিআরসি) বরাদ্দ করা বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ছাড়া অন্য কোনো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ইস্যু করা এবং বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের একক এখতিয়ার থাকবে কমিশনের।

বিধান লঙ্ঘন করে লাইসেন্স ছাড়া বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করলে বা কমিশনের বরাদ্দ না নিয়ে কোনো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করলে তার এ কাজ হবে একটি অপরাধ। এজন্য তিনি সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডে বা সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ অপরাধ অব্যাহতভাবে ঘটালে অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অনুমোদনহীন তরঙ্গ ব্যবহার করা এবং লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকিটকি ব্যবহার, কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এ বিষয়ে দফায় দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি। সতর্ক করে মাঝে মাঝেই মোবাইলে খুদে বার্তাও পাঠানো হচ্ছে। 

এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিটিআরসি একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, লাইসেন্স ছাড়া অনুমোদনহীন বিভিন্ন তরঙ্গে পিএমআর, এসবিআর ও সিমবেসড সেট ব্যবহার, মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী জ্যামার, জিএসএম/৩-জি/৪-জি নেটওয়ার্ক বুস্টার ও রিপিটার আমদানি এবং প্রস্তুত, বিদেশি প্রস্তুতকারকের ওয়েবসাইট বা দেশি ও বিদেশি শপ, দেশীয় ইলেকট্রনিক বাজার বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে কেনাবেচা এবং ব্যবহার করা আইনানুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন’ ২০০১’-এর ৫৫ ধারাও তুলে ধরে শাস্তির কথাও জানানো হয়। 

ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধ করার বিষয়টি নজরে রয়েছে জানিয়ে র‌্যাব-৩-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি চক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব অপরাধীকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেছিলেন, কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা নিষিদ্ধ। এসব সেট শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু একটি অপরাধী চক্র বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে অন্য পণ্যের আড়ালে বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম আমদানি করছে। পরবর্তীকালে এসব সরঞ্জাম দিয়ে তারা অবৈধ ওয়াকিটকি সেট তৈরি করছে। 

যেভাবে নিতে হয় অনুমোদন

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমতি ছাড়াও বিটিআরসির ভেন্ডারের মাধ্যমেই সংগ্রহ করতে হয় ওয়াকিটকি সেট। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী সেট আমদানি করে বিটিআরসির এনওসি নিয়ে খালাস করে বিটিআরসিকে প্রদর্শন করলেই সেট ব্যবহার করা যাবে।

এককালীন সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি সেটের জন্য প্রতিবছরের নবায়ন ফি ৭০০ টাকা নেয় বিটিআরসি। সাধারণত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক থাকলে ওয়াকিটকির অনুমোদন মেলে। তবে এক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি থাকে ২৪৫-২৪৬ এমএইচজেড (যা ৮০০ মিটার থেকে এক কিলোমিটার কাভার করে)। এছাড়া যে এলাকার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়, সেই এলাকার বাইরে ওযাকিটকি ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি নতুন নিয়মে ওয়াকিটকির রঙে পরিবর্তন এসেছে। ফলে বৈধ লাইসেন্সধারীরা এখন থেকে আর কালো রঙের ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবেন না।

আমদানি ও বিক্রি হয় অবৈধভাবে

ওয়াকিটকি আমদানি ও বিক্রি করা হয় অবৈধভাবে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ও অন্য বৈধ পণ্যের আড়ালে মূলত এসব ওয়াকিটকি আমদানি করা হয়। আমদানির পর অনলাইন শপ, স্টেডিয়াম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিকের দোকানে ওয়াকিটকি অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি আনুষ্ঠানিকতার ঝামেলা এড়িয়ে অনেকে প্রয়োজনে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকায় এসব অবৈধ ওয়াকিটকি কিনছেন। 

ওয়াকিটকি আমদানি করার আগে বিটিআরসি থেকে অনাপত্তি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছেন না অসাধু আমদানিকারকরা। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ ও ২৫ মার্চ এবং ১১ মে বিটিআরসির পরিদর্শক দল অনলাইন মার্কেট প্লেস দারাজ, বিডিস্টলডটকম এবং ক্লিকবিডি লিমিটেডের অফিস পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে এসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট/অ্যাপ থেকে অবৈধ জ্যামার, বুস্টার, রিপিটার ও বিটিআরসির অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্রপাতি বিক্রয়কারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হয়।

বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া ওয়াকিটকি আমদানির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আকাশ ও নৌপথে বিটিআরসির অনুমতি না নিয়েই আমদানি করছে ওয়াকিটকি। এসব আমদানি ঠেকানোর ক্ষমতা বিটিআরসির নেই। কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাগেজে দেশে আমদানি হচ্ছে ওয়াকিটকি।

অবৈধ ওয়াকিটকি: প্রতারণা ও অভিযান

২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট ওয়াকিটকি হাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে গরুবোঝাই ট্রলার আটকে বেপারীদের মারধর করে ৬৫টি গরু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গায়ে পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ওয়াকিটকি, কোমরে পিস্তল ও মোটরসাইকেলের সামনে পুলিশের স্টিকার সেঁটে প্রতারণা করছিলেন শাকিল হাসান। ইন্টারনেট থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি ডাউনলোড করে তাতে কলম দিয়ে টার্গেট ব্যক্তির নাম লিখে নিয়ে যেতেন ‘গ্রেপ্তার’ করতে। হয়রানির ভয় দেখিয়ে দাবি করতেন মোটা অঙ্কের টাকা। গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। 

সম্প্রতি রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নেন। আলোচিত এ ঘটনায় ঘটনার হোতা শাকিল আহম্মেদ রুবেল ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের কাছ থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি, পিস্তলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। ছিনতাইয়ের সময় রুবেলের হাতে ওয়াকিটকি, কোমরে পিস্তল ও গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগানো থাকত।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ দল ১৭টি চালানে প্রায় এক হাজার ওয়াকিটকি জব্দ করে। ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর হাজী সেলিমের ছেলে ও কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমের বাসায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ৩৮টি ওয়াকিটকি। গত ২ আগস্ট রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় একটি ভবনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট এবং যন্ত্রাংশ মজুত রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রয়কারী রাকিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ৬৮টি ওয়াকিটকি সেট, ১৫টি ওয়াকিটকি সেটের ব্যাটারি, ৫২টি চার্জার, ৫৩টি ওয়াকিটকি সেটের হেডফোন উদ্ধার করা হয়।

গত ২২ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অলেফিল ট্রেড করপোরেশনের মালিক ও চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ আল সাব্বির এবং তার সহযোগী আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় ১৬৮টি ওয়াকিটকি সেট, ওয়াকিটকি সেটের ৩৫টি ব্যাটারি, ৩২টি চার্জার, ৬৩টি অ্যান্টেনা, ছয়টি মাউথ স্পিকার ও ছয়টি ব্যাক ক্লিপ জব্দ করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে রাজধানীর সায়েদাবাদ, মনিপুরীপাড়া, রাজারবাগ ও শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস সেট ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অভিযানে অবৈধ ৩১৭টি বিভিন্ন প্রকার ওয়াকিটকি সেট, ১১৬টি মোবাইল ও পাঁচ হাজার ২৪৪টি বিভিন্ন প্রকার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। 

পরে ৩১ অক্টোবর র‌্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ধরনের ওয়াকিটকি ব্যবহার করে, তার মতো হুবহু সেট তৈরি করে তা অপরাধীদের কাছে বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের সদস্যরা গত ১ বছরে এক হাজার ১৫০টি অবৈধ ওয়াকিটকি সেট বিক্রি করেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫