সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলের সোয়া ১৬ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩০

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আজ দেশের উপকূল থেকে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে আছে সিত্রাং। ঝড়ের প্রভাবে গতকাল রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে দেশের সাত জেলা এখন বিদ্যুৎ বিহীন। ইতোমধ্যে ভোলাসহ সাতটি সমিতিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।
ঝড়ের ঝুকি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই সময় তারা তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে চার্জ ধরে রাখারও পরামর্শ দেন।
এদিকে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) জানায়, তাদের সব এলাকা ঝুকির মুখে নেই। তবে যে কয়টি জেলা ঝুকিতে পড়েছে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু আছে। তবে ঝড়ো হাওয়ার কারণে কিছু এলাকায় এমনিতে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
আরইবি জানায়, সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আরইবির অধীন বরিশাল ১, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, খুলনা, বাগেরহাট পিবিএস এর ১৬ লাখ ১২ হাজার গ্রাহক এখন বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছে।
আরইবির চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের সাতটা পিবিএস ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই আপাতত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কিছু কিছু পিবিএসয়ের হেড অফিসে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই অল্প। ভোলায় একেবারেই বিদ্যুৎ নেই।
তিনি জানান, এই সাতটির বাইরেও বেশ কিছু পিবিএস ঝুঁকিতে আছে, যেমন কক্সবাজার। সেখানেও ঝড়ো হাওয়া বইছে।
তিনি বলেন, উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সবগুলোই ঝুঁকিরমধ্যে আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সাগর আরো বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকেও ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।