পায়রা বন্দরের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২০

পায়রা বন্দরের মূল ফটক। ছবি: সংগৃহীত
উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে পায়রা বন্দরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এর মধ্যে দেশের বৃহত্তম ড্রেজিং প্রকল্প ও নির্মাণাধীন প্রথম টার্মিনাল উল্লেখযোগ্য। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বন্দরে এখন সাজ সাজ রব। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পায়রা বন্দর ঘিরে জাগরিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে পায়রা বন্দরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সমুদ্র বন্দরটিতে প্রথমবারের মতো কন্টেইনার জাহাজ খালাসের মাধ্যমে শুরু হয় অপারেশনার কার্যক্রম। বর্তমানে চার হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার লালুয়ায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এই টার্মিনালের কাজ শেষ হলে তিনটি জেটিতে একত্রে তিনটি বিদেশি কনটেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ এসে ভিড়তে পারবে।
এছাড়া রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ঠিক রাখার জন্য চার হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহত্তম একটি ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই ড্রেজিং কাজ শেষ হলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রস্থ ও ১০ দশমিক ৫ মিটারের গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এর ফলে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা তিন হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে।
দেশের এই বৃহত্তম ড্রেজিং ও প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প ছাড়াও আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বন্দর সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদের উপর এক দশমিক ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের সেতু ও ছয় লেনবিশিষ্ট সড়কের নির্মাণকাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন। এছাড়া কার্গো অপারেশনের জন্য দুটি টাগ বোট, একটি বয়ালেয়িং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট, দুটি নিরাপত্তা টহল জলযান ও দুটি পাইলট বোটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েল আহম্মেদ জানান, ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ খালাসের মাধ্যমে ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। পায়রা বন্দর পরিপূর্ণ সক্ষমতায় আসলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে যোগ করবে নতুন মাত্রা।