Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

দুর্ভাগ্যের কৃষ্ণবলয়ে দেশের অর্থনীতি

Icon

আসাদ জোবায়ের

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:২৬

দুর্ভাগ্যের কৃষ্ণবলয়ে দেশের অর্থনীতি

জ্বালানি ও রিজার্ভ সংকটে খাবি খাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি ও রিজার্ভ সংকটে খাবি খাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। রিজার্ভ সংকটে পর্যাপ্ত জ্বালানি কিনতে পারছে না সরকার। শিল্প উৎপাদনে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়। এর সঙ্গে বৈশ্বিক মন্দা যোগ হওয়ায় কমে গেছে রফতানি আয়। প্রবাসী আয়েও ভাটা পড়েছে। পরিত্রাণে আপাতত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ইউক্রেন- রুশ যুদ্ধের সমাপ্তি এবং আসছে শীতে বিদ্যুৎ চাহিদা কমার আশায় অপেক্ষা করছে সবাই। অবশ্য আগামী দিনের খাদ্যবিপর্যয় ঠেকাতে বাড়ির উঠোনেও চাষাবাদের টোটকা পরামর্শ এসেছে দেশের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে। 

বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ রিজার্ভ কমে যাওয়া। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এর মধ্যে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার রফতানি উন্নয়ন ফান্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এই প্রশ্নবিদ্ধ উদ্যোগ নিয়ে আইএমএফ- এর আপত্তি রয়েছে। অধিকাংশ ঋণই ‘ফোর্সড লোন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার ভয়াবহ তথ্য মিলছে। যা-ই হোক, এই সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে বর্তমান রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। আগামী বছরের শুরুতে এটি ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সাধারণভাবে একটি দেশে ছয় মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাকে নিরাপদ মনে করা হয়। প্রতি মাসে গড়ে ৬৮৭ কোটি ডলার ব্যয় ধরলে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলার দিয়ে চার মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। এটি একটি ভয়াবহ চিত্র। 

এই অব্যাহত রিজার্ভ সংকটের কারণ তিনটি- রফতানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়া, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া এবং মুদ্রা পাচার। অনেকেই দেশের আগামী দিনের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আপাতত দেশে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকারবিরোধী প্রচারণা সক্রিয় হয়েছে প্রবাসীদের মধ্যে। অনেকেই সরকারকে অর্থনৈতিক চাপে ফেলতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে না। 

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যার পরিমাণ আগের সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। খোলাবাজারে ডলারের সংকট সামাল দিতে পারলে হয়তো ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনা সহজ হতো। এজন্য নিয়মিত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবু খোলাবাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রফতানি আয়ও কমে গেছে আশঙ্কাজনকহারে। সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন দেশে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার) পণ্য রফতানি করেছেন উদ্যোক্তারা। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। মূলত বৈশ্বিক মন্দায় চাহিদা কমে যাওয়ায় এই পতন বলে মনে করছেন রফতানিকারকরা। 

ইতোমধ্যে দেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ওয়ালমার্ট বাংলাদেশ থেকে তাদের বেশির ভাগ অর্ডার বাতিল করেছে এবং আগামী ছয় মাসে নতুন অর্ডারের সম্ভাবনাও খুব কম। অর্ডারের অভাবে অনেক পোশাক কারখানাই সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম উৎপাদন করছে। এদিকে বর্তমানে তীব্র গ্যাস সংকটে ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যবহার করা যাচ্ছে। এতে রফতানি আয় ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার পাশাপাশি এ শিল্পসংশ্লিষ্ট বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশের অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পরিলক্ষিত।

তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হচ্ছে। জ্বালানিসংকটের কারণে এসব কারখানা পুরোপুরি চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বিভিন্ন কারখানায় হিসাব নিয়ে দেখা গেছে, দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আশু সমাধানের কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের কারখানা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে। এর ফলে রফতানিতে ঘাটতি হবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

আপাতত শীতের অপেক্ষায় আছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে চলছে ৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং। আগামী শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমবে হয়তো; কিন্তু শীত শেষে কী হবে, সেই পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। ইউক্রেন- রুশ যুদ্ধ কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অবস্থায় আমদানিনির্ভরতা কীভাবে কমানো যায় সেই মহাপরিকল্পনা করার এখনই সময় এসেছে। গত এক দশকে গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন কোনো সফলতা নেই। অথচ সীমান্তে মায়ানমার গ্যাস অনুসন্ধানে সফলতা পাচ্ছে। 

যে দিক দিয়েই অর্থনীতির বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, রিজার্ভ সংকটের এই বৃত্ত থেকে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটা বিকল্প- খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো; কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো- এ বছর দেশের একটা বিরাট অংশ বন্যার কবলে পড়েছিল। পাশাপাশি এ বছর বর্ষায় বৃষ্টি কম হয়েছে। এর ফলে আশানুরূপ ফলন মিলছে না। বিশ্ববাজারে সারের মূল্যবৃদ্ধিতে আগামীতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পেতে পারে। 

গত অর্থবছরে খাদ্য আমদানিতে ১৭ লাখ টন ঘাটতি রয়েছে। এখন আমদানি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামও বেড়েছে। এ কারণে আমদানি ব্যয়ও বেশি হবে। একই সঙ্গে গমের আমদানি ব্যয়ও বাড়বে। এতে আমদানিতে আবার চাপ বাড়বে। গত পাঁচ বছরে বিদেশি উৎস থেকে সরকারি- বেসরকারি উভয় খাতেই ঋণ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এ সময়ে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ।

বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড আগামী দুই- এক বছরের মধ্যে শেষ হবে। তখন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন হবে ঋণের কিস্তি পরিশোধে। চলতি অর্থবছর থেকেই নতুন করে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি যোগ হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের অস্বাভাবিক উল্লম্ফন। বর্তমানে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি থেকে শুরু করে রফতানি আয় নেই- এমন অনেক শিল্পোদ্যোক্তাও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছেন। এ ঋণ পরিশোধে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ অব্যাহতভাবে বাড়ছে।

পাশাপাশি অনিষ্পন্ন আমদানি দায় দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি করছে। গত অর্থবছর শেষ হয়েছে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি অনিষ্পন্ন রেখে। রেকর্ড এসব অনিষ্পন্ন এলসি দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

আমদানি- রফতানি বাণিজ্যের আড়ালে প্রতিবছর গড়ে দেশ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, দেশের রফতানিকারকদের বৃহদাংশই তাদের রফতানি আয়ের একটা ক্রমবর্ধমান অংশ দেশে ফেরত আনছেন না। তারা এই বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশের ব্যাংকে জমা রেখে সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘরবাড়ি, ব্যবসাপাতি, অ্যাপার্টমেন্ট কিনছেন। এভাবেই গড়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, ইতালি, ফ্রান্স, দুবাই ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি পুঁজি পাচারকারীদের রমরমা বসতিগুলো।

এই যখন দেশের অর্থনীতির হালচাল, তখন প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করেছেন আগামী বছর বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আসছে বলে। সম্প্রতি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এই বার্তা একেবারেই অমূলক নয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এরই মধ্যে সতর্ক করে বলেছে যে, ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং ২০ কোটি মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। এফএও এবং ডব্লিউএফপির যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রবল। এর পাশাপাশি এশিয়া ও আফ্রিকার আরও কিছু দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি হতে পারে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলে সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এজন্য তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা এবং যুদ্ধ- বিগ্রহকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, পৃথিবীর ৪৫টি দেশে এখন ‘দুর্ভিক্ষের দরজায় কড়া’ নাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন রিলেশন্স কমিটির সামনে এক বক্তব্যে ডব্লিউএফপি নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে এবং এর একটি বড় কারণ হবে যুদ্ধ এবং সারের সংকট। তিনি বলেন, এটা এমন এক ধরনের সংকট হতে যাচ্ছে, যা আমরা জীবদ্দশায় দেখিনি। 

এই দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের চিত্র কেমন হতে পারে? জ্বালানির বর্তমান সংকট আরও তীব্র হতে পারে, বাড়তে পারে দামও। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কমবে চাহিদা। এতে কমে যাবে রফতানি আয়ের ধারাবাহিকতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান সঞ্চিত রিজার্ভ আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো- এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে কমে যায়। শিল্পোৎপাদন হ্রাস পায় এবং ব্যাংকে ব্যাংকে নতুন খেলাপি উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়। এসবের প্রভাবে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনও (জিডিপি) কমে যেতে পারে দেশে দেশে।

প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা কী? মন্দার কারণে বাড়বে আমদানি পণ্যের দাম। জানা গেছে, আমদানি খরচ কমাতে সরকার সব খাতেই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে কৃষি ও উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে বাড়তি ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া হবে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা বাবদ মোট বরাদ্দের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেজন্য উন্নয়ন ব্যয় ছোট করা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেটের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। আগামী বাজেটে তা সাড়ে ৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের পরিবর্তে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতেও উৎসাহ দেওয়া হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, আগামীতে তার সুবিধাভোগী বাড়ানো হতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫