Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ফেলানী হত্যা: ভারতে রিটের শুনানি শুরু

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১৫

ফেলানী হত্যা: ভারতে রিটের শুনানি শুরু

ফেলানীর লাশ সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলেছিলো ৫ ঘণ্টা- ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনঃবিচার এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করা রিটের শুনানি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিচারপতি ড. ডি ওয়াই চন্দ্রচাদ ও বিচারপতি কেএম জোসেফের যৌথবেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। এদিন অধিকতর শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ১৮ মার্চ ধার্য করে আদেশ দেন যৌথবেঞ্চ। 

শুনানিতে রিটের পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট বিজন ঘোষ ও অ্যাডভোকেট অপর্ণা ভাট। ভারত ইউনিয়ন ও অন্যদের পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট ডি মোহনা। অ্যাডভোকেট বিজন ঘোষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ ফেলানীকে (১৪) গুলি করে হত্যা করে। ওই সময় ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলেছিলো ৫ ঘণ্টা। এরপর দুদিনব্যাপী দফায়-দফায় পতাকা বৈঠক শেষে ফেলানীর লাশ বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছিলো বিএসএফ। 

ওই সময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত চৌধুরীহাট বিওপি'র কোম্পানি কমান্ডারের এফআইআর-এর ভিত্তিতে ভারতের দিনহাটা থানায় একটি জিডিই দায়ের করা হয়। পরে এর ভিত্তিতে ওই দিন একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদসহ ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য ভারত সরকারকে চাপ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের সোনারী এলাকায় অবস্থিত ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। আদালত ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেন। 

ফেলানীর বাবা-মা এই রায় প্রত্যাখ্যান করলে ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুনঃবিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৫ সালের ২ জুলাই অমিয় ঘোষকে আবারো নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় ওই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও কোলকাতার মানবাধিকার সংগঠন 'বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ'-এর সাধারণ সম্পাদক কিরিটি রায়। তারা যৌথভাবে বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন। ওই রিটের হলফনামায় ফেলানীর বাবার পাশাপাশি কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন সই করেছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ফুল বেঞ্চ শুনানি শেষে রিট আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং বিবাদীদের জবাব প্রদানের নোটিশ জারির আদেশ দেন। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে মামলার বিবাদীরা তাদের জবাব দাখিল করেন। কিন্তু এরপর থেকে একের পর এক তারিখ বদল হলেও শুনানি হয়নি।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বাদী হয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অপর একটি রিট আবেদন দাখিল করেন।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, উভয় রিটের শুনানি এক সঙ্গে করা হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ফেলানী হত্যা ইস্যুর যৌক্তিক নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫