Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২

নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব: জয়

Icon

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৮:২১

নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব: জয়

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমার বিশ্বাস আপনারাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করবেন। আর এটা আমাদের জীবদ্দশার মধ্যেই হবে। নিজেদের পরিশ্রম, মেধা দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করবো।

আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

পদক বিজয়ী ও মনোনীতদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপনারা যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য, দেশের  সেবা করছেন— এটা আমাদের সব নাগরিকের এবং বিশ্বের প্রতি একটি উদাহরণ। আপনাদের মতো তরুণ তরুণীরা নিজের প্রচেষ্টায়, কারও কাছে হাত না পেতে, নিজের মেধায়, নিজের চিন্তাধারায়, নিজের মতো অল্প হোক, বেশি হোক কাজ শুরু করে দিচ্ছেন। আপনারা কারও জন্য বসে নেই। এটাই হচ্ছে আমাদের চেতনা, আমাদের বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসই ছিল যে, আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। 

তিনি বলেন, আজ বিশ্বে অনেক সংকট চলছে, যুদ্ধ চলছে, সমস্যা চলছে । দুই বছর আগেই আমরা কোভিড মোকাবিলা করলাম। সেটি যেতে না যেতে যুদ্ধ, সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে। এসব নিয়েই আজকাল খবরে অনেক শোনা যায়, অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকেন যে— এই সমস্যা আমাদের দেশ কিভাবে মোকাবিলা করবে। এই তরুণরাই হচ্ছে মোকাবিলা করার উদাহরণ। সমস্যার শেষ থাকে না। 

তিনি আরো বলেন, ১৪-১৫ বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তার মধ্যে আমরা কী কী সমস্যা দেখেছি। প্রথমেই ছিল বিদ্যুতের সমস্যা, তখন সবার চিন্তা যে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়, এটা আমরা কিভাবে সমাধান করবো, এটা তো সম্ভব না। তারপর অর্থনীতি, এত মানুষকে কিভাবে খাওয়ানো হবে, এই অর্থনীতিকে কিভাবে আগানো যায়। সেটাও আমরা করে দেখিয়েছি। তারপর এলো কোভিড, এটা নিয়ে সবাই ভয়ে ছিল। এটা ছিল সারাবিশ্বের আতঙ্ক।

সিআরআই-এর চেয়ারপারসন বলেন, তবে কী দেখা গেলো, বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে, নিজেদের পরিকল্পনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে এমনকি সবচেয়ে ধনী দেশ থেকেও আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। আমি গর্ব বোধ করি, যখন প্রত্যেক বছর জয় বাংলা পুরস্কার দেই, তখন যে এতগুলো সংগঠন এগিয়ে আসে, আবেদন করে।

জয় বলেন, প্রথম বছর ২০০ সংগঠনের মতো আবেদন করেছিল। প্রত্যেক বছর এটা বাড়ছে। এখন সাড়ে তিন লাখ আমাদের প্রতিনিধি আছে। যারা সারা দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজ নিজের এত আনন্দ লাগছে যখন দেখি যে, আমাদের দেশে রোবটিক হাত বানানো হচ্ছে। এটা অসাধারণ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে প্রতিনিধি যাচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য, এটা অসাধারণ। আপনারা সবাই অসাধারণ কাজ করছেন। আমাদের দেশ একটি অসাধারণ দেশ। এই অল্প জায়গার মধ্যে মানুষকে আমরা স্বাধীন করেছি নিজের রক্ত দিয়ে। এই ১৬ কোটি মানুষকে ১০-১৫ বছরে আমরা দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এই তরুণ তরুণীরা, পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ, দেশকে আপনারাই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

বিকেল ৩টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই ইয়াং বাংলার কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

এবারের পুরস্কারের জন্য প্রায় ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তাদের মধ্য থেকে ২৮ জনকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা হয়। ৫টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয় ১০ প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া দুইজনকে দেওয়া হয় আজীবন সন্মাননা। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সিআরআইয়ের ট্রাস্ট্রি নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ছয় বছর কেটে গেল। আজকে ইয়াং বাংলার সদস্যসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দুর দূরান্তে থেকে তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় অনেক কিছু করেছেন। জুরি বোর্ডে উপস্থিতি ছিলেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, গত ৮ বছরে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। সিআরআই’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সারাদেশ থেকে আবেদন করা তরুণদের ৬০০টিরও বেশি সংগঠন থেকে যাচাই-বাছাই শেষে শীর্ষ ১০ তরুণ সংগঠনের হাতে এই পদক দেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫