সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারী (মডারেটর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাঁচ শিক্ষক দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটিতে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান হয়।

গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক একটি উদ্দীপকে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় অনুভূতি ও সংবেদনশীলতাকে ক্ষুন্ন করে।  

উসকানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড গত ৮ নভেম্বর জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি করেছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।

আর এটি মডারেশনে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

এই ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মদন মহন দাসকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।