Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে ‘ব্যাংকক হসপিটাল’

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৭:০৩

উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে ‘ব্যাংকক হসপিটাল’

সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা বক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে ‘ব্যাংকক হসপিটাল’। হাসপাতালটি নিউজউইক পরিচালিত ওয়ার্ল্ডস বেস্ট হসপিটাল-২০২০ জরিপে থাইল্যান্ডের শ্রেষ্ঠতম হাসপাতাল হিসেবে নির্বাচিত হয়। 

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীতে ব্যাংকক হসপিটালের বাংলাদেশে অফিসে ‘ব্যাংকক হসপিটাল, থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রগামী’ শীর্ষক নামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাই রাষ্ট্রদূত মিসেস ‘মাখওয়াদি সুমিতমোর’ তার বক্তৃতায় থাইল্যান্ডে মেডিকেল ট্যুরিজমের সুযোগ সুবিধাসমূহ তুলে ধরেন। তিনি জানান, মেডিকেল ট্যুরিজমে ২২ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইঐছ-এর একমাত্র প্রতিনিধি ‘ব্যাংকক হসপিটাল অফিস বাংলাদেশ’ ধানমন্ডি, বনানী এবং চট্টগ্রামে ৩টি অফিসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সৌজন্যমূলক ওয়ান-স্টপ পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। ‘ইঐছ’ এক ধরণের সার্জারি প্রক্রিয়া। এটি অল-আর্টারি বা ডাবল লাইফ সিএবিজি, দ্বিতীয় সিএবিজি অথবা রিডু সিএবিজি সার্জারির মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি সার্জারি।

ব্যাংকক হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টা ডা. শক্তি রঞ্জন পাল এবং ব্যাংকক হার্ট হসপিটালের পরিচালক ডা. ক্রিয়েংক্রাই হেংরুসামি ব্যাংকক হসপিটালের বিভিন্ন পরিষেবাসহ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে ব্যাংকক হসপিটালের অবদান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন। 

ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ) অত্যাধুনিক কার্যকরী ওষুধ, উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষ ও প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ এবং থাই আতিথেয়তার সমন্বয়ে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবার ধারায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ইঐছ ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকক হার্ট হসপিটাল, ওয়াটানোসোথ ক্যান্সার হসপিটাল, ব্যাংকক ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল (নিউরোলজি এবং অর্থোপেডিকস)। 

স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ক্ষেত্রের বিপুল সংখ্যক বিশেষজ্ঞগণ এখানে কর্মরত রয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক হসপিটালের প্রধান কার্যালয় হওয়ায়, ‘ইঐছ’ প্রযুক্তিগতভাবে সবচেয়ে উন্নত হসপিটাল এবং এতে এমন কিছু অনন্য চিকিৎসা-প্রযুক্তি রয়েছে যা থাইল্যান্ডের অন্য বেসরকারি হসপিটালে পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর ধরে থাই এবং বিদেশি রোগীরা তাদের চিকিৎসার জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকক হাসপাতালকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এখানে একই ছাদের নিচে সমস্ত নির্ভরযোগ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পাওয়া যায়।

ব্যাংকক হার্ট হসপিটালের উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে- সিটি এনজিওগ্রাম-২৫৬ স্লাইস, এমআরআই ৩.০ টেসলা, কার্ডিয়াক এমআরআই ৩.০ টেসলা, ওপেন এমআরআই ১.০ টেসলা, জটিল অ্যারিথমিয়ার জন্য কার্টোসাউন্ড ইত্যাদি। এখানে স্মার্ট সার্জারির জন্য একটি হাইব্রিড অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে।

ব্যাংকক ক্যান্সার হসপিটালে সঠিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য রয়েছে ৪র্থ প্রজন্মের এমসিটি ফ্লো পেট-সিটি, রেডিওথেরাপি এবং রেডিওসার্জারির নতুন যুগান্তকারী চিকিৎসায় ‘ভ্যারিয়ান এজ’ এক থেকে তিনদিনের মধ্যেই সার্জারি ছাড়াই মস্তিষ্কের টিউমার সারিয়ে তুলতে পারে। একই সাথে বিএইচকিউ ইমিউনোথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি ও টার্গেট থেরাপির মত অত্যাধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসার নেতৃস্থানীয় হাসপাতাল এটি। 

ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ)-এ টিউমার বোর্ড (মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল) রয়েছে। এই বোর্ড প্রতিটি ক্যান্সার রোগীর সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা পর্যালোচনা এবং পথ প্রদর্শন করে থাকে।

ব্যাংকক ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল (নিউরোলজি এবং অর্থোপেডিকস) মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচারে নির্ভুলতার জন্য ও-আর্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গুরতরভাবে আহত রোগীদের সর্বোত্তম পরিষেবার জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগীয় বিশেষজ্ঞদের একটি নিবেদিত ‘ট্রমা কেয়ার টিম’।

এছাড়া এখানে রয়েছে জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের স্থানান্তরের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, যা সর্বোচ্চ সুরক্ষা রেকর্ডধারী স্কাই আইসিইউ, দক্ষ এভিয়েশন ডাক্তার এবং নার্স দিয়ে সুসজ্জিত।

ব্যাংকক একাডেমি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ মেডিসিন হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ফিফা স্বীকৃত সেন্টার এবং ক্রীড়াজনিত ইনজুরির আদর্শ চিকিৎসাকেন্দ্র। 

এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত কৌশলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে রিকভারি এবং ভাল অস্ত্রোপচারের জন্য রয়েছে মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারি। যা ক্রীড়াবিদদের উন্নত পারফরম্যান্সের সাথে পেশাদারী ক্রীড়াঙ্গনে দ্রুত ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।

ইঐছ’তে সম্প্রতি যুক্ত করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্বাস্থ্যপরিষেবা। যা মেডিক্যাল ইমেজ স্ক্রিনিংয়ে সূক্ষ্মতা বজায় রাখতে চমৎকারভাবে কাজ করে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি, ইঐছ সকল ডিপার্টমেন্টের রোগীদের টেলিমেডিসিন পরিষেবাও প্রদান করে। এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি রোগী কম টাকায় বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন এবং এখনো পাচ্ছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫