দুই মাসের মধ্যে করতে হবে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০৭

দেশের সব কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশ প্রতিপালন বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে শ্রমসচিব ও শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন।
এর আগে গত বছর ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরকার নিয়ন্ত্রিত শপিং মল, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
একই সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সব কল-কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট। কক্সবাজার বিমানবন্দরে মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারা ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না পারা মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনে এ রুল জারি করে আদালত।
মঙ্গলবার আদেশের পর ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪(৭) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উক্তরূপ কোনো কক্ষ যথেষ্ট আসবাবপত্র দ্বারা সজ্জিত থাকিবে এবং বিশেষ করিয়া প্রত্যেক শিশুর জন্য বিছানাসহ একটি খাট বা দোলনা থাকিবে, এবং প্রত্যেক মা যখন শিশুকে দুধ পান করাইবেন বা পরিচর্যা করিবেন, তখন তাহার ব্যবহারের জন্য অন্তত একটি চেয়ার বা এই প্রকারের কোনো আসন থাকিতে হইবে, এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত খেলনার সরবরাহ থাকিতে হইবে।’
সরকার ২০০৬ সালে এ আইন করলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি। তাই বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছি। আদালত আদেশ দিয়েছেন।