
বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা। ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার দেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আলহামুদি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নগরীর একটি হোটেলে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫১তম জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আজ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এক প্রতিবেদনে এ কথা তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আলী আলহামুদি বলেন, ‘দুই দেশের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সফর বিনিময় এবং বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যেকার জোরদার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন।’
আলহামুদি তার স্বাগত বক্তব্যে গত ৫০ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্কের গৌরবময় অভিযাত্রার কথাও তুলে ধরেন।
ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭১ সাল থেকে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাদের উভয় সরকারই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলাকারী দেশগুলোর অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সফল মোকাবেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত নেশন ব্র্যান্ড ইনডেক্সে ১১ তম স্থানে রয়েছে এবং সফল এমিরেটস মারস মিশনের কারণে বিজ্ঞান ও শিক্ষায় অগ্রগামী সাফল্য পেয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সংঘাত বিষয়ে কূটনীতি, একতরফাবাদের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব এবং বিরোধের ক্ষেত্রে সংলাপ সমর্থন করে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বাস করে যে, বিশ্ব আরো মেরুকরণ ও সংঘাতের দিকে যেতে পারে না এবং আগামী দশকগুলিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, স্বাস্থ্য ও খাদ্য ক্ষেত্রে আরো যোগাযোগ, সুসংহত সহযোগিতা প্রয়োজন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মন্ত্রী বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বহু পুরনো বন্ধু এবং তা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক মিলন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে আরো সুদৃঢ় ও গভীর হয়েছে।