Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

পাহাড়ে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে : সন্তু লারমা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৪৫

পাহাড়ে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে : সন্তু লারমা

জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করে বিশেষ মহলের স্বার্থ উদ্ধার করা হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় সড়ক ও ভবন নির্মাণের কর্মকাণ্ড চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। 

আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি এবং পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও দেখছেন না বলে অভিযোগও করেন সন্তু লারমা। 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ হয়। এই চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সন্তু লারমা বলেন, আমার জীবদ্দশায় আমি এই চুক্তি বাস্তবায়নের যে আশা-সম্ভাবনা সেটা আমি দেখি না। কিন্তু তরুণদের তা দেখতে হবে। নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন আছে। এখানে বিশেষ শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে আরো অনেক কিছু সংযোজনের প্রয়োজনও আছে।

তবু পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীদের জন্য তিন জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের আইনের মধ্য দিয়ে দেওয়া বিশেষ শাসনের মধ্য দিয়ে যতটুকু অধিকারের স্বীকৃতি এখানে আছে, সেটুকুই আদায় করে নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

সুষ্ঠু শাসনতান্ত্রিক ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা না থাকলে সে উন্নয়ন জনগণের অনুকূলে যেতে পারে না দাবি করে তিনি বলেন, পাহাড়ে বিগত ২৫ বছর ধরে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। যেহেতু সেখানে সুষ্ঠু প্রশাসন নাই, সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা নাই সেহেতু উন্নয়নটা আসলে কোথায় কোথায় হয়েছে তা খুঁজে পাওয়াটা আমি মনে করি খুবই কঠিন।

কাচালং হয়ে সাজেকের দিকে রইলুই নামের মৌজায় পাকা সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করার বিষয়ে সন্তু লারমা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলেন জানিয়ে বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম, এই রাস্তা যাতে না করা হয়। এই রাস্তা যদি করা হয় তাহলে কাচালং মাইনি রিজার্ভের যে জীববৈচিত্র তা ধ্বংস হবে। পরিবেশের ওপর আঘাত আসবে। নানা সমস্যার জন্ম দেবে।

তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছিলেন যে সড়কটি করা হবে না। কিন্তু উনি কি লিখেছেন জানি না। ওনার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই দেখা গেল রাস্তা শুরু হয়ে গেছে। যে টাকা বরাদ্দ ছিল তার চেয়ে দ্বিগুন টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই পাহাড়ি নেতা প্রশ্ন রাখে বলেন, এখানে কিসের উন্নয়ন হচ্ছে? আমাদের জীবনটা তো এই (উন্নয়ন) কাজটা দিয়ে অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫