
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও প্রতারণার মামলায় দোহারের কথিত ভণ্ডপীর মো. মতিউর রহমানসহ ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম মারুফ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সেন্টু পীর, শুকুর, লিয়াকত, কাজল, জিন্টু, আলমাছ, জুলহাস ও আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান, মতিউর রহমানকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর এবং অপর আসামিদের এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় জিন্টু ও আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। রায়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া রায় ঘোষণার সময় বাকি সাত আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দোহার থানায় মামলাটি করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানার তৎকালীন এসআই মো. তছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদে বলা হয়, দোহার থানাধীন লটাখোলা সাকিনে জনৈক ভণ্ডপীর মতিউর রহমান তার সঙ্গীসহ প্রতারণার মাধ্যমে মুসলিম নারী ও পুরুষদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। সংবাদ পেয়ে মামলার বাদী (পুলিশ কর্মকর্তা) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, আসামিরা এলাকার সহজ-সরল নারী ও পুরুষদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৭০০ করে টাকা নিয়ে পবিত্র হজের মতো প্রতীকী অবস্থার সৃষ্টি করে হজ পালন করাচ্ছে। ভণ্ডপীর মতিউর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে মিথ্যা ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে মুরিদ তৈরি করেছে।
এ ছাড়া নারীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ জুন একই থানার পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম শেখ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। পরের বছরের ৩ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।