নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানের জামিন

আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০২

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি মোহাম্মদ শাহজাহান। ছবি: সংগৃহীত
দুদকের দায়ের করা মামলায় দুই শর্তে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি মোহাম্মদ শাহজাহানের জামিনের দিয়েছেন হাইকোর্ট। শর্তগুলো হলে আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়া যাবে না এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পর্যবেক্ষণে যাওয়া যাবে না।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে শাহজাহানসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পরে তিনি আবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন-তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/ সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।