সিএমএইচে জমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়ার পাশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৫২

সিএমএইচে চিকিৎসাধীন জমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়ার পাশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন জমজ বোন রাবেয়া ও রোকেয়াকে দেখে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ‘ফ্রিডম অপারেশন’-এর সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন পাওয়া এই দুই জমজ বোনের সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন সিএমএইচের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাবেয়া ও রোকেয়া দেখতে যান। সেখানে তারা শিশুদের মা-বাবা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় তিনি সুন্দর ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে জমজ দুই বোনের চিকিৎসা দেওয়ায় সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় সিএমএইচ’র কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট জোড়া মাথার জমজ রাবেয়া ও রোকেয়াকে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি দল সফলভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করে। পরে অস্ত্রোপচারের ক্ষত স্থানের কিছু জটিলতার জন্য তারা বর্তমানে সিএমএইচ ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকগণ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তিন বছর ধরে চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পঞ্চাশটির অধিক অপারেশন করে জমজ এই শিশু দুটিকে সফলভাবে পৃথক করা সম্ভব হয়েছে এবং তারা এখন স্বাধীন জীবন উপভোগের সুযোগ পেয়েছে।
চিকিৎসকরা আরও জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির প্রায় ১২৫ জন ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য সহকারীদের আন্তরিক সেবাদানের ফলে দুজনই সুস্থ আছে।
এসময় রাবেয়া ও রোকেয়াকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু চকলেট ও বিস্কুট উপহার দেন এবং তার মা-বাবাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তারা বলেন, বিশ্বে এ যাবত ১৮-১৯টি এ ধরনের অপারেশন হয়েছে যার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ রোগী মারা গেছে। এই জমজ দুই বোনের মধ্যে রাবেয়া সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তবে রোকেয়ার আরেকটি অপারেশন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ড. গ্রেগ পাটাকি হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। হাঙ্গেরির চিকিৎসক গ্রেগ পাঠাকি ও তার দল প্রতিবছর বাংলাদেশে এসে অনেক অপারেশন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও বদান্যতায় শিশুগুলো এবং তাদের অভিভাবকরা এখন তাদের সুন্দর জীবন প্রাপ্তির আশা পূরণ হওয়ায় রাবেয়া ও রোকেয়ার মা-বাবা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।