Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

এখন স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলতে হয় না: প্রধানমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৩১

এখন স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলতে হয় না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আর রাস্তায় স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলতে হয় না। রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল সব চলাচল করতে পারে। সারা দেশের যেকোনো জায়গায় থেকে ঢাকায় সড়কপথে ৬-৭ ঘণ্টায় আসা যায়।

আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকালে সারা দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক একযোগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময়ই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তিতে সব ধরনের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। স্থানীয়ভাবেও রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। পায়ে চলা পথগুলোও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। জানি না, যারা এটা বলে আওয়ামী লীগ কিছুই নাকি করেনি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে কি না, সেটাই আমার প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কী করেছে আর আওয়ামী লীগ কী করেছে, আমি আশা করি দেশবাসী বিবেচনা করে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। গণমানুষ যেন ভালো জীবনযাপন করতে পারে, আমরা সেটা চেষ্টা করি। আমরা দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ই-গভর্ন্যান্স, ই-এডুকেশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ দশ বছরে সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হত। আজ সিঙ্গাপুরের কথা বলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে বাংলাদেশ বিশ্বে হত উন্নয়নের উদাহরণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরবর্তী মিশন ২০৪০ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন।  এ মিশন সফল হবে না যদি রাস্তা ও পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকে। আমাদের রাস্তাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। খুলনা-যশোর সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ রকম সড়ক স্মার্ট বাংলাদেশের অন্তরায়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৫০টি জেলায় এসব সড়ক নির্মাণে ১৪ হাজার ৮২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এ কাজে বেশির ভাগ অর্থের জোগান দিয়েছে সরকার।

দুই হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে বড় সড়কটি সাউথ এশিয়ান সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) কর্মসূচির আওতায় নির্মিত হয়েছে। এটি জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সবচেয়ে ছোট ইজতেমা সড়কের দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা সবচেয়ে বেশি সড়ক আছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো সড়ক নেই।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ সড়কের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সড়ক হয়েছে ৩২, ময়মনসিংহে ৬, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৪, খুলনায় ১৬, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ১৫ ও বরিশালে চারটি। মোট সড়কের মধ্যে জাতীয় সড়কে যুক্ত হচ্ছে ২০৬.৫৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক। আর আঞ্চলিকে ৬২১.৬৮ কিলোমিটার ও জেলা সড়কে এক হাজার ১৯৩.৩৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে।   

সওজের অধীনে বর্তমানে দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক আছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০টি কালভার্ট ও সাড়ে চার হাজার সেতু আছে। এই সড়ক নেটওয়ার্কে তিন হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক ও ১৩ হাজার ৫৮৮ কিলোমিটার জেলা সড়ক আছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক।

এর আগে, গত ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫