ক্ষুধা সূচকে অগ্রগতি হলেও ‘গুরুতর’ অনাহারে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৪৬

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এবারের সূচকে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। অন্যদিকে বিশ্বের ১১টি দেশের মানুষ ‘ভীতিকর মাত্রার’ অনাহারে ভুগছে। আর ‘গুরুতর মাত্রার’ অনাহারে ভুগছে বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশের মানুষ।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (জিএইচআই)-২০২০’-এ এমন চিত্র উঠে এসেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আয়ারল্যান্ডভিত্তিক কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও জার্মানিভিত্তিক ‘ওয়েলথ হাঙ্গার লাইফ’ যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করে থাকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক্ষেত্রে তারা অপুষ্টি, খর্বাকৃতি শিশুর সংখ্যা, কৃশকায় বা শীর্ণকায় শিশু ও শিশুর মৃত্যুর হার—এ চারটি মাপকাঠি বিবেচনা করে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ক্ষুধার মাত্রাকে ভাগ করা হয় সহনীয়, গুরুতর ও ভীতিকর—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক অনুসারে ১০০ পয়েন্টের এক স্কেল রয়েছে, যেখানে শূন্য হলো সেরা স্কোর। কারও স্কোর শূন্য মানে সে দেশে কোনো মানুষ অনাহারে নেই। এ বছরের সূচকে ৭৫তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ২০.৪। বাংলাদেশ ক্ষুধার ‘গুরুতর মাত্রা’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। গত বছরের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমান বলেন, কভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এ বছর দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাছাড়া চলতি বছর স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক আর জলবায়ু বিপদ একসঙ্গে আসায় বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টিও যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ক্ষুধার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে জাতিসংঘ ২০৩০ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, তা পূরণ করার জন্য আর মাত্র ১০ বছর বাকি আছে। এমন অবস্থায় সবার জন্য পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও পদক্ষেপ দ্বিগুণ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে ক্ষুধা সূচকের প্রতিবেদনে।