Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি: পরিকল্পনামন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:১৬

ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রকল্পের কেনাকাটায় টিমওয়ার্ক দুর্নীতি হয়। তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি হয় বলে এটা আমার ধারণা। 

তবে দুর্নীতিবাজ কারও সাথে কাজ করেন না বলে তিনি বিশ্বাস করেন। 

আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে টিমওয়ার্ক মাঝে মাঝে হয় আমার ধারণা, কিন্তু সাধারণত ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাক্ট। পকেটমার কিন্তু টিমওয়ার্ক। একজন নেয়, আরেকজনকে দিয়ে দেয়, সে আরেকজনকে দেয়– শুনেছিলাম। দুর্নীতিতে এরকম আছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্নীতি ব্যক্তিগতভাবে হয় বলে আমার ধারণা।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের চারপাশে সবাই দুর্নীতি এড়িয়ে চলেন। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে- প্রমাণিত হলে আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করবো। আমরা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো।

তিনি আরো বলেন, একটা বিষয় বলতে চাই না তবুও বলতে হয়। যেখানেই যাই সাধারণ মানুষ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চায়। পকেটমার ও দুর্নীতি একটি ক্রিমিনাল বিষয়। এটা নিয়ে ডিসকাস করার, সেমিনার করার কোনো মানে হয় না। আমি যে টকশোতে যাই যে সেমিনারে সেখানে ঘুরে ফিরে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমি তাদের বলি দুর্নীতি নিয়ে গবেষণার কিছু নাই, ডিসকাস করারও কিছু নাই। কিছু খাতে দুর্নীতি হচ্ছে অবশ্যই হচ্ছে। তাদের কাছে দুর্নীতি করার ব্যবস্থাও আছে। দুর্নীতির নিশ্চয় একটা ভিত্তি আছে তা না হলে এটা নিয়ে এতো আলোচনা কেন হবে। দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। 

এম এ মান্নান বলেন, আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে যখন প্রশ্ন করে তখন আমি বলি আমি তো বাস্তবায়ন করি না রে ভাই। তখন অনেকে বলে আরে মান্নান সাহেব আপনি কি জানেন দুর্নীতি আপনিই তো বাড়িয়ে দেন। যাক দুর্নীতি নিয়ে একটা আলো আঁধারি বিষয় আছে। সচেতন থেকে দুর্নীতি এড়িয়ে চলতে হবে। 

কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, যুগ্ম প্রধান, উপ-প্রধান, উপ-সচিব পর্যায়ের মোট ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫