রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ রোধে, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ কার্যত এখন নেই বললেই চলে। বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম সপ্তাহখানেক বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশি, গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কারণ এমনকি রাস্তাঘাটে বের হওয়া মানুষকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদদ্যের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হলেও গত দু/একদিন যাবত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে।
মানুষজন বলছেন, অফিস-আদালত-ব্যাংক খোলা থাকায় তাদের বাধ্য হয়েই বের হতে হয়েছে। তবে জীবিকার টানে বের হওয়া এসব মানুষ স্বীকার করছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা। সোমবার (১২ জুলাই) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অধিক যানবাহন ও জন চলাচলের দৃশ্যে চোখে পড়ে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষকে রিকশায় চলাচল করতে দেখা যায়।
সোমবার সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সার্ক ফোয়ারা গোলচত্ত্বরের চারপাশে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে যানজটে পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে সাইরেন বাজিয়ে উল্টোপথে যেতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজকের মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
এদিকে, দেশব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের তালিকার দৈনিক মৃত্যুর শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।