তিনদিনে জমা ২ কোটি টাকা

গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) চালু হওয়ার পর থেকে গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রায় ৪০ হাজার ব্যক্তি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে মোট চাঁদা জমা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান বলেন, উদ্বোধনের দিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই ইতোমধ্যে টাকা জমা দিয়ে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আবার অনেকে শুধু নিবন্ধন করে রেখেছেন। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে তারাও টাকা জমা দেবেন।

তিনি আরও বলেন, পেনশনের নিবন্ধন থেকে শুরু করে চাঁদা পরিশোধ সবকিছুই ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে করা যাচ্ছে। মানুষ তাদের সুবিধাজনক সময়ে নিবন্ধন করছেন। এতে আবেদনকারীর সংখ্যাও প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে চার ধরনের নাগরিকের জন্য প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী- এ চার প্রকারের প্যাকেজ রাখা হয়েছে। পেনশন কর্মসূচির আওতায় যে কোনো স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন গ্রাহক। গ্রাহক মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের ৭৫ বছর বয়স হতে যত বছর বাকি থাকবে, সেই সময় পর্যন্ত নমিনি পেনশন তুলতে পারবেন। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

কোনো গ্রাহক পেনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর টানা দশ বছর চাঁদা দিলেই তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে পেনশন পেতে তাকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে এভাবে বলা যায় যে, কোনো গ্রাহক ৪০ বছর বয়সে পেনশন কর্মসূচিতে অংশ নিলেন। তারপর ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে চাঁদা দেওয়ার পর চাঁদা বন্ধ করে দিলে প্রথম তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তারপরও যদি গ্রাহক চাঁদা পরিশোধ না করা হয়, তাহলে তার পেনশন হিসাবটি স্থগিত হয়ে যাবে। তবে গ্রাহককে পেনশন সুবিধা পেতে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর জমাকৃত টাকা ও সরকার ঘোষিত মুনাফার স্থিতির ভিত্তিতে ৬০ বছর বয়স থেকে তিনি প্রতিমাসে পেনশন পাবেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যেসব প্রবাসীর বাংলাদেশের এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল, অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারছেন। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর দেওয়া হচ্ছে, যা দিয়ে চাঁদা পরিশোধসহ সব কাজ করা হচ্ছে। গ্রামীণ পর্যায়ে নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। কেউ অনলাইনে পেনশন স্কিমের জন্য নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হলে সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখায়ও তা করা যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //