Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

এমপি আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে এই শাহীন?

Icon

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ১৩:৩৯

 এমপি আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে এই শাহীন?

এমপি আনোয়ারুল আজীমের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন। ফাইল ছবি

ভারতে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন আলামত পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মরদেহের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে? আরও কারা জড়িত? এসবের প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে কলকাতা পুলিশ।

তবে এই হত্যার তদন্তে ঘুরেফিরে একটি নাম এসেছে জোরালোভাবে। তিনি আমেরিকান পাসপোর্টধারী আখতারুজ্জামান শাহিন, কলকাতায় এসেছিলেন আমেরিকার পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এই আখতারুজ্জামানই কলকাতায় এক লাখ রুপিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন এক বছর আগে।

জানা গেছে, পরিকল্পিতভাবে খুন করে কলকাতা ছেড়ে বাংলাদেশ হয়ে ইতোমধ্যে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একাংশ।

এদিকে এমপি আজীমের হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজন ও কলকাতায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ ও কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা। তবে সেই মূল পরিকল্পনাকারী শাহিন আটক নাকি সত্যিই পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি দুই দেশের পুলিশ।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য গিয়ে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

গতকাল বুধবার (২২ মে) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মহাপরিদর্শক (আইজি) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, আনোয়ারুল আজীমকে খুন করা হয়েছে বলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি। কিন্তু তদন্তে এসে শনাক্ত করা ফ্লাটে তার মরদেহ পাইনি।

অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ওই সংসদ সদস্য সন্দীপ রায় নামের এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে চাকরি করেন।

তিনি ফ্ল্যাট ভাড়া কাকে দিয়েছিলেন, জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে। এই আখতারুজ্জামানের সাথে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আর বিস্তারিত বলা যাবে না। তদন্তের বিষয় আছে।

ঘটনার দিন চারজন আখতারুজ্জামানের ফ্ল্যাটে যান। সিসিটিভিতে দেখা গেছে, তিনজন বেরিয়ে এসেছেন, শুধু আনার ছাড়া।

হুন্ডি-স্বর্ণের অবৈধ কারবারের দ্বন্দ্ব থেকে বিরোধ?

আনার হত্যাকান্ডের সর্বশেষ মোটিভ সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাসূত্রে জানা গেছে, আখতারুজ্জামান ও সংসদ সদস্য আনারের মধ্যে হুন্ডি ব্যবসা ও স্বর্ণ ব্যবসাকেন্দ্রীক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। 

মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যাকে খুঁজছে কলকাতা পুলিশ সেই আখতারুজ্জামানের ভাই বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ছোট ভাই আখতারুজ্জামান শাহিন আমেরিকায় থাকেন। গত রমজানে বাংলাদেশে এসেছিলেন আখতারুজ্জামান। তিনি ব্যবসায়ী। সংসদ সদস্য আনার ও তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক ভাল সম্পর্ক। ছোটবেলা থেকে তারা খেলাধুলা করেছেন এক সঙ্গে। কোনো ধরণের বিরোধ ছিল এরকম কিছু জানেন না।

সিসিটিভিতে যা দেখা গেলো

১৩ মে বিকেল পাঁচটায় কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন থেকে শেষবারের মতো বেরিয়ে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সুজুকি মডেলের একটি লাল রঙের গাড়িতে তার বেরিয়ে যাবার সিসিটিভি ফুটেজে আরও দুজনকে দেখা গেছে। এরইমধ্যে গাড়িটি জব্দ করলেও ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ১৩ মে বিকেল ৫টা ২৩ মিনিট সঞ্জীভা গার্ডেনের সামনে সুজুকি মডেলের লাল রঙের একটি গাড়িতে ওঠেন আনোয়ারুল আজিম। গাড়িটির নম্বর ডব্লিউবি ১৮এএ৫৪৭৩। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের গেটের সামনে এক লোকসহ দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরে গাড়িটি এসে থামলে আরও একজন নামেন। একটু পরই সেই গাড়িতে চলে যান এমপি আনার। এই গাড়িটিও আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫