
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
শপথ নেয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে রবিবার (৯ জুন) রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পরপর তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে মিলিত হন।
এসময় তিনি নরেন্দ্র মোদী এবং এনডিএ জোটকে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আবারো অভিনন্দন দেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু'দেশের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে নরেন্দ্র মোদীর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আন্তরিক আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে এবং নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। মানুষে মানুষে সংযোগ বৃদ্ধিতে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ উভয় দেশের আরো উন্নতিকল্পে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
এর আগে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের ২৯৩টিতে বিজয়ী এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদীর পরপর তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যতম শীর্ষ বিশ্বনেতা হিসেবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার বিকেলে দিল্লি পৌঁছান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (ওভারসিজ ইন্ডিয়ান এফেয়ার্স) রাষ্ট্রদূত মুক্তেশ পরদেশী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
এর পর গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে সারাবিশ্ব থেকে আগত প্রায় ৮ হাজার অতিথির সঙ্গে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার কন্যা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
আজ সোমবার (১০ জুন) অপরাহ্নে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি থেকে ঢাকা রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।