Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কোনো ঝুঁকিতে নেই

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ১০:৪৯

মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কোনো ঝুঁকিতে নেই

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে সীমান্তে বিজিবির সতর্ক পাহারা। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের মংডু, রাথেডওং আর রামরি শহর দখল নেয়ার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি লড়াই করছে সরকার বাহিনীর সাথে। তাই মিয়ানমারের জলসীমার ভেতর তিনটি যুদ্ধ জাহাজ নোঙর করে রেখেছে দেশটি। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে ঠেকাতে এসব জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে একই জলসীমার ভেতরে অবস্থান নিয়েছে আরাকান আর্মিও। যেকোনো মুর্হুতে বড় যুদ্ধ বাঁধতে পারে। প্রতিবেশী হিসেবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, তবে এদিকে কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। 

বাংলাদেশের জলসীমায় ডুবোচরের কারণে মিয়ানমারের জলসীমা ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যায় নৌযান। তবে বর্তমানে সেই পথ দিয়ে কোনো নৌযান গেলেই মিয়ানমার থেকে গুলি ছুঁড়ছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। বাংলাদেশে এর প্রভাব থাকলেও কোনো ঝুঁকি নেই। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন, আমাদের বাংলাদেশের জলসীমায় মিয়ানমারের কোনো যুদ্ধ জাহাজ নেই। আমাদের সীমানা নিরাপদ। দুই একটা জাহাজের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো তাদের সীমানায় আছে, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের সীমানার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নাফ নদীতে নৌযান চলাচলে সতর্ক হওয়া জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাধারণত আমরা যে রুট ব্যবহার করি, সেটা তিন থেকে চারশ মিটার আনুমানিক। যেহেতু এবার যুদ্ধ হচ্ছে এর প্রেক্ষিতে আমরা এই পথ এড়িয়ে যাবো। যেহেতু যুদ্ধ চলছে নিরাপত্তার বিষয় আছে। আমরা বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করছি।  

এর আগে গত শুক্রবার (১৪ জুন) সেন্টমার্টিনে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। বিকল্প পথে নৌযান চলাচলেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না। আমরা আক্রমণ করবো না। তবে আমাদের প্রস্তুতি আছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫