‘ড. ইউনূসের বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে বলছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিচারিক কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন। তাকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে ব্রিফিংয়ে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ড. ইউনূসের বিচার ও শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম ‘কমিটি ফর ডেমোক্র্যাটিক বাংলাদেশ’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে আইনি সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি লিখেছে। চিঠিতে এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের কোনও ধরনের পদক্ষেপ না থাকার সমালোচনা করা হয়েছে। কমিটির উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়ে মার্কিন সরকারের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে, এমন শঙ্কায় আমরা এর আগেও আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা আরও উদ্বিগ্ন, শ্রম এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনের এই ধরনের অপব্যবহার আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে বাধা আসতে পারে।
ওই সাংবাদিক আরেক প্রশ্নে জানতে চান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একই সময়ে চীন সফর সম্পর্কে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি কী?
জবাবে মিলার বলেন, আমি ইতোমধ্যেই মোদির রাশিয়া সফরের বিষয়ে কথা বলেছি। এখন নতুন করে আর যোগ করার কিছু নেই। শেখ হাসিনার চীন সফরের বিষয়ে বলব, দেখুন- আমরা বুঝতে পারি অনেক দেশই চীনের সঙ্গে জড়িত। আমরাও চীনের সঙ্গে জড়িত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিংকেন) নিজেই দুইবার চীন সফর করেছেন। তাই এ বিষয়ে আমার আর কোনো কিছু বলার নেই।