নয়াদিল্লিতে ‘মন্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ’ বাংলোতে আছেন হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেই আছেন গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা একটি পূর্ণ আকারের বাংলোতে রাখা হয়েছে তাকে। কড়া নিরাপত্তায় হাঁটতে যান লোদি গার্ডেনে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনাকে এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় ভারতে তার অবস্থান নিয়ে নানা খবর এসেছে। মাঝে তৃতীয় কোনো দেশে চলে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ওঠে।
দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, শেখ হাসিনা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটির সরকারের ব্যবস্থাপনায় নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি নিরাপদ বাড়িতে বসবাস করছেন। গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষার জন্য সংবাদমাধ্যমটি তার সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি।
সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই কড়া। সাদা পোশাকে তাকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
একজন ‘গণ্যমান্য ব্যক্তি’ হিসেবে তিনি এই পর্যায়ের সুরক্ষা পাচ্ছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে দ্য প্রিন্টকে। বলা হয়, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি ওই এলাকায় বসবাস করছেন। এখানে তার থাকার জন্য সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টা পর একটি বিমানে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামেন শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি। তবে দুই দিনের মধ্যেই তিনি বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেন। বিমানঘাঁটিতে তার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা।
তিনি বিমানঘাঁটিতে বেশিক্ষণ থাকতে পারতেন না। সেখানকার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তাকে একটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চলে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। এটি একটি উচ্চ সুরক্ষা অঞ্চল, যেখানে অনেক সাবেক এবং কর্মরত ভারতের সংসদ সদস্যের বাড়ি রয়েছে।
শেখ হাসিনা প্রায়ই বাড়ির বাইরে যান কিনা জানতে চাইলে সূত্র বলেন, যখন প্রয়োজন হয় তখন কোর সিকিউরিটি গ্রুপকে জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়।
ভারত সরকার শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত আগস্টে পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ‘এই মুহূর্তে’ ভারতে আসার অনুমতি চেয়েছেন।
শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নেত্রী। টিউলিপ সিদ্দিক এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। তবে তিনি তার বোনের সাথে বাড়িতে রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।